দেশের সরকারি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আবেদন করেছেন ৬৮ হাজার ৬৮৪ জন। ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট আসন ৫৪৫টি। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে ১২৬ জন ভর্তিচ্ছু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এবারও পাস নম্বর ৪০।

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস কোর্সে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময় বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী পরীক্ষার্থীদের আবেদন, ই-মেইল ও টেলিফোনিক বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রবেশপত্র ডাউনলোড পূর্বক রঙ্গিন প্রিন্ট গ্রহনের সময়সীমা আগামী ২৭/২/২০২৫ তারিখ সকাল ১০ টা থেকে ২৮/২/২০২৫ সকাল ৯.

০০ টা পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

আরও পড়ুনবুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভর্তি পরীক্ষা কত নম্বরে—

লিখিত ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ (এক) নম্বর করে মোট নম্বর ১০০ (এক শ)। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন—জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫, সাধারন জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তজাতিক বিষয়াবলি) ১০।

পরীক্ষার সময়কাল ১ (এক) ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তর প্রদানের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে। কোনো প্রশ্নের একাধিক উত্তর প্রদান করলে উত্তরটি ভুল বলে গণ্য হবে। প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ (চল্লিশ) নম্বরের কম প্রাপ্তরা দেশে ভর্তিও বিদেশে বিডিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য অকৃতকার্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হবে।

এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান ও এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ (একশত) নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ণ করা হবে। এসএসসি/ও লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ১০ গুণ=৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ) এইচএসসি/এ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ১০ গুণ =৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ)।

আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব ব্রুনেই দারুসসালামে বৃত্তি, মাসে ২ লাখের সঙ্গে নানা সুযোগ২২ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয়বার ভর্তি–ইচ্ছুকদের কত নম্বর কাটা—

পূর্ববর্তী বছরের (২০২৩ সালে) এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩ (তিন) নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের (২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে) সরকারি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল কলেজ/মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তিরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর থেকে ৬ (ছয়) নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

আরও পড়ুনজাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে করুন আবেদন১৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনজাপানে ৩-৬ মাসের ইন্টার্নশিপ, বিমান টিকিট-আবাসন-ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে দিনে ২৪০০ ইয়েন০৬ জানুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ য় প র শ ক ষ বর ষ পর ক ষ র থ র জন য ল কল জ

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধের কারণে বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা অসহনীয় পর্যায়ে: ইউএনএইচসিআর

যুদ্ধ, সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা অসহনীয় হারে পৌঁছেছে। বিপরীতে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তার তহবিল দ্রুত কমছে। বিশ্বে গত এক দশকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র ইতিবাচক দিক হচ্ছে সিরিয়ার বাস্তুচ্যুতদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্ট’–এ এমন চিত্র তুলে ধরেছে। জেনেভা থেকে ইউএনএইচসিআর আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্ট’ অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিলের শেষ নাগাদ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১২ কোটি ২১ লাখে পৌঁছেছে। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ১২ কোটি। এ সংখ্যা প্রায় এক দশক ধরে প্রতিবছর শরণার্থী ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টিই তুলে ধরে। এই বাস্তুচ্যুতির প্রধান কারণ হলো সুদান, মিয়ানমার ও ইউক্রেনের মতো বড় সংঘাত এবং যুদ্ধ থামাতে ক্রমাগত ব্যর্থতা।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক তীব্র অস্থিরতার সময়ে বাস করছি; যেখানে আধুনিক যুদ্ধবিগ্রহ এক ভঙ্গুর, মর্মন্তুদ পরিস্থিতি তৈরি করেছে—তীব্র মানবিক দুর্ভোগ যার সাক্ষ্য দেয়। শরণার্থী ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য শান্তি ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে।’

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে রয়েছে নিজ দেশের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষ, যাদের সংখ্যা ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ৬৩ লাখ বেড়ে বেড়ে ৭ কোটি ৩৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। আর দেশ ছেড়ে পালিয়ে শরণার্থী হয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ মানুষ। এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে সুদানে। দেশটিতে ১ কোটি ৪৩ লাখ শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে। এর আগে এ অবস্থানে ছিল সিরিয়া (১ কোটি ৩৫ লাখ)। এরপর রয়েছে আফগানিস্তান (১ কোটি ৩ লাখ) ও ইউক্রেন (৮৮ লাখ)।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ধনী অঞ্চলে বেশি শরণার্থী আশ্রয় নেয়। আবার ৬৭ শতাংশ শরণার্থী প্রতিবেশী দেশগুলোতেই আশ্রয় নেন। বিশ্বজুড়ে ৭৩ শতাংশ শরণার্থী এই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেই রয়েছে। বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে ৬০ শতাংশ তাদের নিজ দেশের মধ্যেই থেকে যায়।

বিশ্বে গত এক দশকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু ইউএনএইচসিআরের তহবিল এখনো ২০১৫ সালের সমানই রয়েছে। মানবিক সহায়তায় চলমান কঠোর কাটছাঁটের কারণে শরণার্থী-বাস্তুচ্যুতরা আরও অতি ঝুঁকির মুখোমুখি।

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘তহবিল কাটছাঁটের এমন পরিস্থিতির মধ্যেও গত ছয় মাসে আশার আলো দেখেছি। সিরিয়ার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এক দশকের বেশি সময় বাস্তুচ্যুত থাকার পর দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন। দেশটি এখনো ভঙ্গুর এবং মানুষের জীবন পুনর্গঠনের জন্য আমাদের সহায়তা প্রয়োজন।’

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে মোট ৯৮ লাখ জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মানুষ দেশে ফিরেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ১৬ লাখ শরণার্থী (যা গত দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ) এবং ৮২ লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ (যা এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ)।

তবে এ প্রত্যাবর্তনের অনেকগুলোই প্রতিকূল রাজনৈতিক বা নিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যে ঘটেছে। যেমন ২০২৪ সালে বিপুলসংখ্যক আফগানকে আফগানিস্তানে ফিরতে বাধ্য করা হয়েছিল, যারা দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় দেশে ফিরেছে। গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদানের মতো দেশগুলোতে শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে নতুন করে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতিও ঘটেছে।

এ পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচিগুলোর জন্য ক্রমাগত অর্থায়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। এ কর্মসূচিগুলো দেশে ফেরত যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা করে। এ ছাড়া কর্মসূচিগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়দানকারীদের মৌলিক অবকাঠামো ও সামাজিক পরিষেবাগুলোকে শক্তিশালী করে; যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য এক অপরিহার্য বিনিয়োগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • করোনা বাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিকল্প চিন্তা
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • যথাসময়ে এইচএসসি পরীক্ষা আছে বিকল্প চিন্তাও
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
  • মেটার কাছে সরকার ৩,৭৭১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে
  • যুদ্ধের কারণে বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা অসহনীয় পর্যায়ে: ইউএনএইচসিআর