খাদ্যে ভেজালকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ‘নিরাপদ খাদ্য চাই’ নামে একটি সংগঠন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খাদ্যে ভেজালকরীরা রাষ্ট্র ও জনগণের শত্রু। খাদ্যে ভেজালের কারণে প্রতিদিন অনেক মানুষের জীবন দিতে হচ্ছে। প্রতি বছর খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া দেড় লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। দুই লাশ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, সবচেয়ে অনিরাপদ শিশুখাদ্য। বিভিন্ন ক্যামিকেল ও কাপড়ের রং দিয়ে শিশুখাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। যা একটি শিশুর জীবন কেড়ে নিতে যথেষ্ট।
তারা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খাদ্যে ভেজালকারীদের জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। এরপরও অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য খাদ্যে ভেজালকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মোরশেদ আলম, মামুন, ইউসুফ, তোফায়েল আহমেদ, সালাউদ্দিন, আবুল বাশার ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাজু প্রমুখ
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবণের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
আরো পড়ুন:
সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
অবশেষে শেষ হলো জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা
এতে বক্তব্য দেন, অপরাধতত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আক্তারুজ্জামান সাজু, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী কাশিফ আহমাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (মাকসু) গঠনের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছি। আমাদের সুস্পষ্ট দাবিগুলো হচ্ছে, ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন; নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ; অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নামমাত্র একটি কমিটি গঠন করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করেনি। আমরা গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিলাম। প্রতিবারের মতো এবারো প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেনি।
বক্তারা আরো বলেন, পূর্বঘোষিত সতর্কবার্তার ভিত্তিতে আমরা আজ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনে বাধ্য হয়েছি। এ কর্মসূচি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশের দাবিতে আমাদের দৃঢ় অবস্থানের প্রকাশ।
সেইসঙ্গে আমরা আপনাদের একটি সুসংবাদ দিতে চাই যে, আমরা খুব শিগগিরই ঐতিহাসিক দরবার হলে একটি ছাত্র সম্মেলনের পরিকল্পনা করছি। যেখানে ক্যাম্পাসের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে মাকসুর রূপরেখা কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমরা খুব দ্রুতই এই সম্মেলন আয়োজক কমিটি গঠন করে শিক্ষার্থীদের নিকট প্রকাশ করব ইনশাআল্লাহ।
ঢাকা/কাওছার/মেহেদী