রমজান মাসে জেরুজালেমের পুরাতন নগরীর আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

গত বছর গাজার যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েল আল-আকসায় প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, বিশেষ করে পশ্চিম তীর থেকে আসা ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে। ডেভিড মেনসার বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রতি বছরের মতোই স্বাভাবিক বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে।

নিরাপত্তার অজুহাতে এবারও প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হতে পারে। গত বছর শুধু ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে জেরুজালেমের পুরাতন শহরজুড়ে ইসরায়েলি পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

এই বছরও সতর্কতা অবলম্বনের ইঙ্গিত দিয়ে মেনসার বলেন, সহিংসতা ও উসকানির যে কোনো চেষ্টাকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিহত করব। তবে তিনি ঠিক কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

আল-আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। দীর্ঘদিনের রীতির অংশ হিসেবে ইহুদিরা সেখানে প্রবেশ করতে পারলেও প্রার্থনার অনুমতি নেই।

ইসরায়েলি সরকার দাবি করেছে, তারা আল-আকসার স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চায়। তবে ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করছে এবং পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ