রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নেতার ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ভিডিও ভাইরাল
Published: 1st, March 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর শাখার মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের চাঁদা দাবির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ২ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে নাহিদকে দেখা গেলেও অপর পাশে থাকা ব্যক্তিকে দেখা যায়নি। এতে এক বালু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে নাহিদ বলছেন তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
একটি পুকুর খনন করে বালু উত্তোলন ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে ভিডিওতে কথা হয়। নাহিদকে উদ্দেশ করে এক ব্যক্তি বলেন, ‘তুমি যদি বলো সেখানে বালুর ব্যবসা হচ্ছে, তাহলে সেটা বন্ধ করে দিই। ১ লাখ টাকা দিতে পারব না, ৫ হাজার টাকা দিচ্ছি।’ এ সময় নাহিদ বলেন, ‘ব্যবসা আপনি বন্ধ করবেন কেন, ব্যবসা আপনি চালান। ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। প্রয়োজনে সময় নেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনি তো দেখছেন বিষয়টি কোথায় গেছে, ইউএনও-ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে। যদি মনে হয় কিছু কমাবেন, তাহলে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আমি চাই না আপনাদের কোনো সমস্যা হোক। জানেন তো সংগঠন চালাতে হলে কী কী করতে হয়।’
এই ভিডিও শনিবার সকাল থেকে ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে কল করা হলে নাহিদ বলেন, ‘রংপুর নগরীর হাজিরহাট এলাকায় একটি ইকো পার্কের নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে আমরা চারজন সেখানে যাই। আমার উপস্থিতি দেখে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত বেলাল নামে এক ব্যক্তি নগরীর শিমুলবাগ কমিউনিটি সেন্টারে আসতে বলে। আমি সেখানে গেলে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে টাকার অফার করেছিল, যা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। আমরা যেন তাদের ব্যবসায় হাত দিতে না পারি, সে জন্য আমাদের ফাঁসাতে তারা এই কাজটি করেছে।’
এ ব্যাপারে গ্রিন সিটি ইকো পার্কের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার পার্কে পুকুর তৈরিতে খনন কার্যক্রম চলছিল। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে বলে নাহিদ আমার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। এ ছাড়া তার চাঁদা দাবির অনেক কলরেকর্ড আমার কাছে আছে, যা দ্রুত প্রকাশ করা হবে।’
গত ২৪ নভেম্বর রংপুর মহানগরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ মাস মেয়াদি আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে রংপুর ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী নাহিদকে মুখপাত্র করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।