বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়া ৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মাগুরা ডিবি পুলিশ।

শনিবার (১ মার্চ) তাদেরকে নিজ নিজ ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। 

আটকরা হলেন- সানাউল্লাহ, আইয়ুব, রাজিদা, হারেজ, আরজ এবং এরফান। তারা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পের শরণার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মাগুরা ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মাগুরা-ফরিদপুর সড়কের ওয়াপদা বাজার এলাকায় পরিবহন তল্লাশিকালে ওই ছয় জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে রোহিঙ্গা নাগরিক সানাউল্লাহ কক্সবাজারের বালুখালীর শরণার্থী। 

ইতিমধ্যে তিনি রোহিঙ্গা পরিচয় গোপন করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি মোদ্রামাঘোনা এলাকার বাসিন্দা হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। নতুন আরও পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিকের পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেই সানাউল্লাহ তাদেরকে নিয়ে যশোর যাচ্ছিলেন। পথে মাগুরায় ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন।

মাগুরা ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, “যথাযথ আইনি ব্যবস্থা শেষে আটক ছয় রোহিঙ্গাকে নিজ নিজ ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট, এনআইডিও
  • পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার ১০ সুবিধা
  • পাবনার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক, অভিযোগ শ্যালকের 
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
  • সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন