চীনা কোম্পানির কাছ থেকে কারখানার যন্ত্রপাতি কিনবে আরএফএল
Published: 2nd, March 2025 GMT
গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে গাজীপুরের কালীগঞ্জে আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে নতুন একটি কারখানা করছে আরএফএল গ্রুপ। এই কারখানার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানি করতে চীনের হাইতিয়ান গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আর এন পাল এবং হাইতিয়ান গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়াং লিনফা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
আরএফএল গ্রুপ প্রায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে রপ্তানিমুখী প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনে এই কারখানা করতে যাচ্ছে। বিনিয়োগ করা এই অর্থ রপ্তানিমুখী নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি ও ভবন নির্মাণে ব্যবহার করা হবে। নিজস্ব অর্থায়ন এবং ব্যাংকঋণের মাধ্যমে এই অর্থের সংস্থান করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরএফএল গ্রুপের এমডি আর এন পাল বলেন, বর্তমানে দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বেসরকারি বিনিয়োগের গতি মন্থর হয়ে পড়েছে। এই প্রতিকূলতার মধ্যেও আরএফএল নতুন কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, যা দেশের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী মে মাসের মধ্যে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে। এতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই বিনিয়োগে আরএফএলের রপ্তানি বাড়বে চার কোটি ডলার।
হাইতিয়ান গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়াং লিনফা বলেন, এই রপ্তানি আদেশ শুধু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না, এটি উৎপাদন ক্ষেত্রে অগ্রগতি, দক্ষতা ও টেকসই ব্যবস্থাকেও নির্দেশ করে। প্রাণ-আরএফএলের অব্যাহত সাফল্যে অবদান রাখতে পেরে হাইতিয়ান গ্রুপ সম্মানিত।
প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে দেড় যুগের অভিজ্ঞতা রয়েছে আরএফএলের। ২০০৭ সালে ভারতে গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্য পাঠানোর মধ্য দিয়ে তাদের রপ্তানি শুরু। বর্তমানে বিশ্বের ৮০টি দেশে তাদের প্লাস্টিক পণ্য যায়। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করেছে আরএফএল।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আরএফএল গ র প র ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক