সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

দুর্নীতি মামলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনার ৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরায় জমিসহ একটি ফ্ল্যাট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো.

ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর রেজাউল করিম রেজা আবেদনটি করেন।

আবেদনে বলা হয়, সূচনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বেশি জমা আছে এবং তার ফ্ল্যাটটি শহরের উত্তরা এলাকায় অবস্থিত।

আবেদনে আরও বলা হয়, কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে সূচনার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় থেকে ৩ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তার সঙ্গে জড়িত ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ২২ লাখ ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৯৩ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনসহ অস্বাভাবিক আর্থিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, সূচনা ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অর্থ অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছে। তাই তাকে এ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য একটি আদেশ প্রয়োজন।

২০ জানুয়ারি বাহার, মেহেরুন্নেসা এবং তাহসিনের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক দুর্নীতির মামলা করে দুদক।

গত বছরের ১১ নভেম্বর একই আদালত এ কে এম বাহাউদ্দিন বাহার, তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা, মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা এবং ছেলে আইমন বাহারের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

তাহসীন বাহার সূচনা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নারী মেয়র ছিলেন। তার বাবা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সূচনা কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

২০২৪ সালের ৯ মার্চ তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করায় তিনি পদচ্যুত হন। এরপর থেকে পলাতক রয়েছে সূচনা।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা