ভারতীয় সিগারেট জব্দ, কৃষক ও তাঁতী দলের দুই নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 6th, March 2025 GMT
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা সদরের বেতছড়ি এলাকা থেকে অবৈধ ভারতীয় সিগারেটসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বেতছড়ির একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে জব্দ করা সিগারেটের বাজারমূল্য ৩২ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কাউখালী উপজেলা কৃষক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা উপজেলা সদরের বেতছড়ির মো. শামসুদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালান। তাঁর বাড়ি থেকে ৩১ কার্টুন ভারতীয় অবৈধ সিগারেট পাওয়া যায়। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজন বিএনপির রাজানীতিতে যুক্ত। তবে অবৈধ সিগারেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাউখালী থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় সিগারেট জব্দের ঘটনায় কাউখালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।