শুরুতে অনুপম খেরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে আসা যাক। আজ নিজের জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে বিভিন্ন বয়সের নিজেকে তুলে ধরেছেন। নিজেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজেই লিখেছেন, ‘আজ আমার জন্মদিন! ৭০তম জন্মদিন! আমি সেই মানুষ, ২৮ বছর বয়সে ৬৫ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম এবং তারপর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার বয়সের চেয়ে বড় চরিত্রে অভিনয় করেছি। সবে তো আমার তারুণ্য শুরু! বয়স কত, তা কেবল একটি সংখ্যা, আমি তার জন্য নিখুঁত উদাহরণ।’ এমন স্বগতোক্তি তাঁর মানায়। তাঁর স্ট্যাটাসের নিচে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রবীন বলিউড তারকা রাকেশ রোশন ও সংগীতশিল্পী সনু নিগম একই শব্দ ব্যবহার করেছেন ‘চির সবুজ’।
চলচ্চিত্র সমালোচকদের মতে, বলিউডে তাঁর মতো বহুমুখী প্রতিভার অভিনেতা কমই এসেছেন। কমেডি হোক, সিরিয়াস হোক কিংবা খলনায়কের চরিত্র হোক—সব চরিত্রকেই দক্ষতার সঙ্গে পর্দায় ফুটিয়ে তোলায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। চার দশকের বেশি সময় তিনি পর্দায় অভিনয় করছেন। এই সময়ে বিচিত্র চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। কৌতুক, খল অভিনেতা, বিত্তশালী বাবা কিংবা রাজনীতিবিদ! সব চরিত্রে মানিয়ে যান বলিউডের অন্যতম বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম খের। টাক মাথার লোকটা শুধু অভিনয়গুণ দিয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন। যদিও ‘বর্ষীয়ান’ শব্দটা তাঁর মোটেও পছন্দ নয়। চলাফেরাতেও তিনি সবুজ!

৫০০–এর বেশি ছবিতে এখন পর্যন্ত অভিনয় করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক ওঠানামাও দেখেছেন। কিন্তু আজও অভিনয় ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারেন না তিনি। আবার এমনও দেখা গেছে, এই বয়সে ফিটনেসের জন্যও আলোচনা হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুপম খেরের জিমের ছবি দেখলে তাক লেগে যায়। বর্ণাঢ্য জীবনযাপন তাঁর।

অনুপম খের.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ