শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে সাক্ষ্য দিতে ডেকেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন
Published: 8th, March 2025 GMT
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে সাক্ষ্য দিতে ডেকেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। এ–সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি আজ শনিবার প্রকাশ করেছে কমিশন। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিশনের ধানমন্ডি কার্যালয়ে হাজির হয়ে বা অনলাইনে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্তপ্রক্রিয়ায় ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তাঁরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.
এসব ব্যক্তি দুই পদ্ধতির যেকোনো একটি মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান। কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদানে আগ্রহী ব্যক্তিরা +৮৮০১৭১৪০২৬৮০৮ মুঠোফোন নম্বরে সরাসরি যোগাযোগ করে অথবা [email protected] এই ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের সময়সূচি নির্ধারণ করে কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। কার্যালয়ের ঠিকানা—বিআরআইসিএম, নতুন ভবন, সপ্তম তলা, (সায়েন্স ল্যাবরেটরি), ড. কুদরাত-এ-খুদা রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনলাইনেও সাক্ষ্য দেওয়া যাবে। ওই মুঠোফোন নম্বরে অথবা ওই ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের সময়সূচি নির্ধারণ করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেওয়া যাবে।
সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে কমিশন ওই ব্যক্তিদের সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায়। এ কারণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে সাক্ষীদের তাঁদের প্রস্তাবিত সময়সূচি ফোনকল অথবা ই-মেইল অথবা পত্রের মাধ্যমে কমিশনের ঠিকানায় লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সাক্ষীদের অসহযোগিতার ক্ষেত্রে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন আইনানুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান আজ শনিবার রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে ওই ১৫ জনের কথা শুনতে চায় কমিশন। এ জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে, যাতে কমিশনের বার্তা তাঁদের (সাক্ষ্য দিতে ডাকা ১৫ জন) কাছে পৌঁছায়। আর যে মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে, আশা করি, সাক্ষীরা সেই মাধ্যম ব্যবহার করে সাড়া দেবেন।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আসন র স ব ক য গ য গ কর হ জ র হয় ১৫ জন ধ নমন
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।