স্মার্টফোনের চার্জে সমস্যা হলে যা করবেন
Published: 9th, March 2025 GMT
স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যোগাযোগ, বিনোদন কিংবা কাজের প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এটি অপরিহার্য। কিন্তু হঠাৎ যদি ফোনে চার্জ বন্ধ হয়, তখন বিরক্তি ও দুশ্চিন্তা দুটোই বাড়তে থাকে। জরুরি প্রয়োজনে ফোন ব্যবহার করতে না পারা বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। চার্জিং সমস্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। চার্জিং কেব্ল বা অ্যাডাপ্টারের ত্রুটি, চার্জিং পোর্টে ধুলা জমে থাকা কিংবা সফটওয়্যারের সমস্যার কারণেও ফোন চার্জ বন্ধ হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরে বসেই সহজ কিছু উপায়ে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। দেখে নেওয়া যাক কীভাবে স্মার্টফোনের চার্জিং সমস্যার সমাধান করা যায়।
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করা
অনেক সময় ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা অ্যাপ চার্জিং প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। ফোন চার্জে দিলেও ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায় বা চার্জ নিতে চায় না। তাই চার্জ দেওয়ার আগে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলো বন্ধ করে নিতে হবে।
ফোন রিস্টার্ট করা
কখনো কখনো ফোনের সফটওয়্যারে সাময়িক ত্রুটির কারণে চার্জিং সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যা হলে ফোনটি বন্ধ করে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে, পুনরায় চালু করতে হবে। এতে সাধারণত চার্জিং–সংক্রান্ত ছোটখাটো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
চার্জিং কেব্ল ও অ্যাডাপ্টার পরীক্ষা করা
চার্জার নষ্ট হলে ফোন চার্জ হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা খেয়াল করি না। এ জন্য চার্জিং কেব্ল ও অ্যাডাপ্টার অন্য কোনো যন্ত্রে সংযুক্ত করে দেখতে হবে ঠিকভাবে কাজ করছে কি না। যদি চার্জ না হয়, তাহলে নতুন কেব্ল বা অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই ফোনের ব্র্যান্ডের মূল চার্জার ব্যবহার করা উচিত। কারণ, নিম্নমানের চার্জার ফোনের ক্ষতি করতে পারে।
চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার করা
ধুলাবালু বা ময়লা জমে থাকলে চার্জিং পোর্ট ঠিকমতো কাজ না–ও করতে পারে। তাই নিয়মিত চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার রাখা জরুরি। পরিষ্কারের জন্য নরম শুকনা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পোর্ট পরিষ্কার করতে কখনোই তরল বা ধাতব বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।
ওপরে উল্লিখিত সব পদ্ধতি অনুসরণ করার পরও যদি ফোন চার্জ না নেয়, তাহলে দ্রুত কোনো অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। অনেক সময় ব্যাটারি বা চার্জিং পোর্টে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এমন সমস্যা হলে মেরামতের প্রয়োজন পড়ে।
সূত্র: টেকলুসিভ ডটইন
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর পর ষ ক র সমস য র র করত
এছাড়াও পড়ুন:
উইন্ডোজের দুটি ‘জিরো ডে’ নিরাপত্তাত্রুটির সমাধান করল মাইক্রোসফট
জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি মূলত সফটওয়্যারের দুর্বলতা। নিজেদের তৈরি সফটওয়্যারে ত্রুটি শনাক্ত হলে দ্রুত সমাধান করে নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্যাঁচ উন্মুক্তের আগে হ্যাকাররা যদি সেই ত্রুটি ব্যবহার করতে পারে, তখন সেটিকে জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি বলা হয়। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে এমনই দুটি জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে সেগুলোর সমাধান করে জুন আপডেট উন্মুক্ত করেছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, জুন আপডেটে দুটি জিরো ডে ত্রুটিসহ মোট ৬৬টি নিরাপত্তাত্রুটির সমাধান করা হয়েছে। প্রথম জিরো ডে ত্রুটিটি ছিল মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ওয়েব ডিসট্রিবিউটেড অথরিং অ্যান্ড ভার্সন সেবায়। দ্বিতীয় জিরো ডে ত্রুটিটি ছিল উইন্ডোজের এসএমবি (সার্ভার মেসেজ ব্লক) ক্লায়েন্ট প্রযুক্তিতে। সিভিই-২০২৫-৩৩০৫৩ এবং সিভিই-২০২৫-৩৩০৭৩ নামের ত্রুটিগুলো কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একটি জিরো ডে ত্রুটি ইতিমধ্যে সাইবার হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। আর তাই দ্রুত নিরাপত্তা হালনাগাদটি ব্যবহার করতে হবে।
মাইক্রোসফটের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ত্রুটিগুলোর মধ্যে ২৫টি রিমোট কোড এক্সিকিউশন, ১৩টি এলিভেশন অব প্রিভিলেজ, ১৭টি তথ্য ফাঁস, ৩টি নিরাপত্তা বাইপাস, ৬টি ডিনায়াল অব সার্ভিস এবং ২টি স্পুফিং ঘরানার ত্রুটি ছিল। আর তাই এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা এসব ত্রুটির কারণে সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্ট রিসার্চ জানিয়েছে, গত মার্চে তুরস্কের একটি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা করার সময় উইন্ডোজের জিরো ডে ঘরানার প্রথম ত্রুটিটি শনাক্ত করা হয়। বিষয়টি মাইক্রোসফটকে জানালে প্রতিষ্ঠানটি সেটিকে সিভিই-২০২৫-৩৩০৫৩ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে এবং ১০ জুন নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করেছে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার