ঠাকুরগাঁওয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগে আটক শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে আদালতে তোলার সময় গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার সকালে জেলা পুলিশ আটক ওই শিক্ষককে আদালতে তুলতে গেলে তাকে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অভিযুক্ত মানকিকে পুনরায় কোর্ট হাজতে পাঠায়।

এ ঘটনার পরে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মানিকের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ সভা করে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশ নেয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা জর্জ কোর্ট চত্বরে এসে অবস্থান নেয়। এসময় ধর্ষকের ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিশুটির পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী শিক্ষক মানিকের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়। পরে বিকেলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

ভূক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ- বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী। এ সময় সুযোগ বুঝে নরপশুর মতো হিংস্র আচরণ করেছেন ওই শিক্ষক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ ও গণধ ল ই

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ

দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ