মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “দেশে নারী নির্যাতন প্রচুর হচ্ছে। ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো অপরাধ যদি দমন করতে না পারি তাহলে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হব। সামাজিক আন্দোলন করে এই অপরাধ প্রতিরোধ করতে হবে।”
রবিবার (৯ মার্চ) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “অপরাধ দমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভবন নয়। তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
লিবিয়া থেকে উদ্ধারের জন্য ২৭ বাংলাদেশির আকুতি
ঝিকরগাছায় মাথার চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
তিনি আরো বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে। বর্তমান সরকার আহতদের যতদিন প্রয়োজন ততদিন চিকিৎসা সুবিধা দেবে। আহত এবং শহীদ পরিবারদের সহায়তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তর হচ্ছে।”
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে আহত খুলনার ৬১ জনের মধ্যে ৪০ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। এ নিয়ে মোট ৫৩ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলো।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো.
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সাবেক কাউন্সিলর কামাল হোসেন (৫৫) মারা গেছেন। তিনি ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।
বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কামাল হোসেন দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তবে তিনি কোনো দলীয় পদে ছিলেন না।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। এরপর থেকেই তিনি নিজ এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পুলিশ ও পরিবারের ধারণা, মামলা থাকার কারণে পুলিশ দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। এ সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
কামাল হোসেনের ছেলে সোহান শাকিল শিমুল বলেন, ‘‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে ওঠার চেষ্টা করেন। সিঁড়িতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’’
ওসি জানান, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামাল হোসেনকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছেন।
ঢাকা/কেয়া//