ঢাবিকে ‘জুলাই বিপ্লবের রক্তাক্ত দলিল’ গ্রন্থ উপহার
Published: 10th, March 2025 GMT
ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে সম্পাদিত ‘জুলাই বিপ্লবের রক্তাক্ত দলিল’ নামক গ্রন্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) উপহার দেওয়া হয়েছে।
গ্রন্থটিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, ছবি, বিশ্লেষণ, মন্তব্য, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয় এবং বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট রয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) উপাচার্য কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন গঠনের আহ্বান বিশিষ্টজনদের
ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী কণ্ঠ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও গ্রন্থের ভূমিকা রচয়িতা অধ্যাপক তাহমিনা আখতার, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, ভারপ্রাপ্ত প্রেস ম্যানেজার ও গ্রন্থের সম্পাদক এসএম বিপাশ আনোয়ার এবং গ্রন্থের প্রকাশক নার্গিস সুলতানা।
‘জুলাই বিপ্লবের রক্তাক্ত দলিল’ গ্রন্থ মূলত একটি পেপার ডকুমেন্টারি। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল গ্রন্থটি সম্পাদনায় সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন। গ্রন্থের গবেষণা সম্পাদক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
পাঁচ খণ্ডের এ গ্রন্থের ১১টি অধ্যায়ে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত ১৩ শতাধিক ঘটনা, সংবাদ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে সংকলনটি এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রকাশনা সংস্থা টিএ্যান্ডটি পাবলিশার্স এ্যান্ড প্রিন্টিং গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান গ্রন্থটি সম্পাদনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব