ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে সম্পাদিত ‘জুলাই বিপ্লবের রক্তাক্ত দলিল’ নামক গ্রন্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) উপহার দেওয়া হয়েছে।

গ্রন্থটিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, ছবি, বিশ্লেষণ, মন্তব্য, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয় এবং বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট রয়েছে।

সোমবার (১০ মার্চ) উপাচার্য কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খানের কাছে পাঁচ খণ্ডের এ গ্রন্থ হস্তান্তর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং গ্রন্থের মুখবন্ধ রচয়িতা অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী।

আরো পড়ুন:

ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন গঠনের আহ্বান বিশিষ্টজনদের

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী কণ্ঠ

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও গ্রন্থের ভূমিকা রচয়িতা অধ্যাপক তাহমিনা আখতার, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, ভারপ্রাপ্ত প্রেস ম্যানেজার ও গ্রন্থের সম্পাদক এসএম বিপাশ আনোয়ার এবং গ্রন্থের প্রকাশক নার্গিস সুলতানা।

‘জুলাই বিপ্লবের রক্তাক্ত দলিল’ গ্রন্থ মূলত একটি পেপার ডকুমেন্টারি। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল গ্রন্থটি সম্পাদনায় সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন। গ্রন্থের গবেষণা সম্পাদক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।  

পাঁচ খণ্ডের এ গ্রন্থের ১১টি অধ্যায়ে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত ১৩ শতাধিক ঘটনা, সংবাদ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে সংকলনটি এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রকাশনা সংস্থা টিএ্যান্ডটি পাবলিশার্স এ্যান্ড প্রিন্টিং গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান গ্রন্থটি সম্পাদনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে আসতে চায় চীনা বহুজাতিক কোম্পানি টেনসেন্ট, কী ব্যবসা করে তারা

চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান।

ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, বাংলাদেশে এসেছে মার্কিন জায়ান্ট স্টারলিংক। আজ (সোমবার) তাদের লাইসেন্স আবেদন অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশে বিগ টেক জায়ান্ট আসার যাত্রাটা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরেই শুরু হলো। এভাবে আসবে আরও অনেকেই।

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে একই পোস্টে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ প্রসঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, ‘আজ আমরা চায়নিজ জায়ান্ট টেনসেন্টের সঙ্গে অফিশিয়ালি বসেছি। তারাও বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের দ্রুততম সময়ে পলিসি সাপোর্টের আশ্বাস দিয়েছি।’

অসাইরিস গ্রুপও বাংলাদেশে আসছে বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে হাইপার স্কেলার ক্লাউড ও ডেটা সেন্টার হবে বাংলাদেশি ডাটা ও ক্লাউড কোম্পানি যাত্রার হাত ধরে। এখানে হচ্ছে বিগ জায়ান্টদের জন্য বিশ্বমানের সিকিউরড ক্লাউড সে-আপ, যেখানে আসতে পারে মেটা, গুগলের পেলোড। এমন অভাবনীয় সব উপহার বাংলাদেশকে দিতে চলছেন অধ্যাপক ইউনূস।

টেনসেন্টের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় চীনের শেনজেনে অবস্থিত।

আরও পড়ুনবাংলাদেশের গেমশিল্পের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী চীনের টেনসেন্ট২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
  • ।।  বাংলাদেশি কবিতা বিরল সম্মাননা ।।
  • সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
  • সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক 
  • জবির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে ৮ বছর ধরে একই চেয়ারম্যান
  • ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের সাক্ষাৎ
  • বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক
  • বাংলাদেশে আসতে চায় চীনা ইন্টারনেট জায়ান্ট টেনসেন্ট
  • বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় চীনা বহুজাতিক কোম্পানি টেনসেন্ট
  • বাংলাদেশে আসতে চায় চীনা বহুজাতিক কোম্পানি টেনসেন্ট, কী ব্যবসা করে তারা