মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নৌকা ডুবে কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছেন। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় মাই-এনডোম্বে প্রদেশের কোয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ মার্চ) স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির। 

প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র অ্যালেক্সিস এমপুতু বলেছেন, “প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ২৫ জন এবং বেঁচে যাওয়া আরোহীর সংখ্যা ৩০ জন। রাতের বেলা নৌযান চলাচলকে নৌকাডুবির প্রাথমিক কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।”

দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটি নাগাম্বোমি গ্রামের ফুটবলারদের বহন করছিল। ওই ফুটবলারা মুশি শহরে একটি ম্যাচ খেলে ফিরছিলেন। স্থানীয় সময় রাত ১১টায় মুশি বন্দর ছেড়ে ১২ কিলোমিটার (৭ মাইলেরও বেশি) পথ পাড়ি দেওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়।

মুশি পুলিশ স্টেশনও দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

মারাত্মক নৌকা দুর্ঘটনা কঙ্গোর নৌপথে সাধারণ ঘটনা। এর জন্য গভীর রাতের ভ্রমণ এবং ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনকে প্রায়শই দায়ী করা হয়।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?

একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। 

চিকিৎসকদের মতে,  ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’

নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।

আরো পড়ুন:

প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন

যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়। 
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।

নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ