Samakal:
2025-11-03@08:06:24 GMT

খালের মাটি লুটের মচ্ছব

Published: 11th, March 2025 GMT

খালের মাটি লুটের মচ্ছব

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ফুলকচি গ্রামে যেন খালের মাটি লুটের মচ্ছব চলছে। দীর্ঘদিন ধরে খাল থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে কিছু লোক। ইদানীং এ মাটি লুট অনেক বেড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফুলকচি গ্রামের হরিপদ বাড়ৈর ছেলে সাধন বাড়ৈ ও কালিপদ বাড়ৈর ছেলে সজিব বাড়ৈ খালের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মাটি কেটে নিচ্ছেন। এক মাস আগে তারা প্রথম মাটি কাটা শুরু করেন। তাদের দেখে এলাকার আরও কিছু ব্যক্তি খাল থেকে মাটি কাটতে শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ফুলকচি গ্রামের এ খাল লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সংযোগকারী তালতলা গৌরগঞ্জ খাল থেকে উৎপন্ন হয়ে লৌহজংয়ের ফুলকচি, বাসুদিয়া, মিঠুসার, মালনী, বাগবাড়ি গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। খালটি দিয়ে এক সময় বড় বড় নৌকা যাতায়াত করত। ৫ বছর আগেও খালটি খনন করা হয়। এখন ওই খাল থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন লোক। এতে খালের পাশের জমিগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। 
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ফুলকচি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খাল থেকে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটছেন সাধন বাড়ৈ ও সজীব বাড়ৈ। প্রায় ১০ ফুট গভীর করে ওই খালের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মাটি শ্রমিক দিয়ে প্রায় এক মাস ধরে কাটছেন তারা। রংপুর জেলার বেশ কিছু শ্রমিককে মাটি কাটতে দেখা যায় ওই স্থানে। শ্রমিকরা বলেন, সাধন বাড়ৈ তাদের দিয়ে মাটি কাটাচ্ছেন। দৈনিক ৫০০ টাকায় মাটি কাটেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমাছ আলী বলেন, দু’জনের দেখাদেখি এখন অনেকেই মাটি কেটে নিচ্ছে। অনুমতি ছাড়া খালের মাটি কাটার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। 
এ ব্যাপারে সাধন বাড়ৈই বলেন, খালটি অনেক পুরোনো। ৪-৫ বছর আগেও সরকারিভাবে খালটি খনন করা হয়। তবে যে স্থান থেকে তারা মাটি কাটছেন সেই জমিটি তাদের বলে দাবি করেন তিনি। সরকার যদি খাল খনন করে তবে সেই স্থান তাদের জমি হলো কিভাবে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়েসুর রহমান জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সজীব বাড়ৈর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান,  খালের মাটি কেটে নেওয়ার কথা শুনেছেন। ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তহশিলদারকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ