আজ বুধবার সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটের দিকে হঠাৎ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) হাজতখানার প্রধান ফটক খুলে দেন দুজন পুলিশ সদস্য।

হাজতখানার সামনে পাঁচজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে। তাঁদের প্রত্যেকের ডান হাতে লাঠি। তাঁদের পেছনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

সালমানের দুই হাত পেছনে। দুই হাতেই পরানো হাতকড়া। পলকেরও দুই হাত পেছনে, দুই হাতেই পরানো হাতকড়া।

পলকের পেছনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে সাবেক সংসদ সদস্য সুলাইমান সেলিম ও ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম। সুলাইমান ও আতিকের দুই হাত পেছনে, পরানো হাতকড়া।

সুলাইমানের পেছনে সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর পেছনে দুই হাত। দুই হাতেই পরানো হাতকড়া।

মহিবুল হকের বাঁ পাশে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলের সাফি মুদ্দাসসির খান জ্যোতি দাঁড়ানো ছিলেন। তাঁরও পেছনে দুই হাত, পরানো হাতকড়া।

সালমান, পলক, আতিকুল, মহিবুলদের মাথায় পুলিশের হেলমেট। হেলমেটের সামনের অংশ গ্লাস দিয়ে ঢাকা। আর প্রত্যেকের বুকে পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট।

মাথা নিচু করে সালমান, পলক, আতিকুল, মহিবুলরা আদালত ভবনের নিচতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় ওঠেন।

আদালতকক্ষের সামনে নেওয়ার পর তাঁদের প্রত্যেকের মাথা থেকে পুলিশের হেলমেট খুলে নেওয়া হয়। যখন তাঁদের প্রত্যেককে কাঠগড়ায় তোলা হয়, তখন দুই হাত পেছনে নিয়ে যে হাতকড়া পরানো ছিল, তার এক হাতের হাতকড়া পুলিশ খুলে দেয়। তখন সালমান, পলক, আতিকুল, সুলাইমান ও মহিবুলরা মাথা নিচু করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকেন।

তখন সকাল ৯টা ৪০ মিনিট। বিচারক এজলাসে আসেননি। দেখা গেল, পলক তাঁর একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছেন।

আইনজীবীর উদ্দেশে পলক বলেন, ‘আমি এখন জামিনের আশা করি না। কিন্তু আপনি আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রত্যেকটা মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রর হুবহু অনুলিপি তুলবেন।’

এরপর পলক তাঁর আইনজীবীকে একের পর এক পরামর্শ দিতে থাকেন। পলকের বাঁ পাশে দাঁড়ানো আতিকুল ইসলামও তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন।

আর সালমান এফ রহমান কাঠগড়ায় যাওয়ার পর থেকেই তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে মামলা–সংক্রান্ত বিষয়সহ নানা বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা বলে ওঠেন, ‘স্যার (বিচারক) আসছেন।’

এজলাসে বিচারক আসার পর পুলিশের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমান ও আতিকুলের নাম ধরে ডাকা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সালমান ও আতিকুলের বিরুদ্ধে ভাটারা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। তখন আদালত তাঁদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

অপলক দৃষ্টিতে পলক

কাঠগড়ায় দাঁড়ানো পলকের বাঁ হাতে পরানো হাতকড়া। ডান হাত কাঠগড়ার রেলিংয়ের ওপরে রাখা। তাঁর পরনে নীল রঙের টি–শার্ট আর কালো প্যান্ট। বিচারকের দিকে এক দৃষ্টিতে অপলকভাবে তাকিয়ে থাকেন পলক।

তখন রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা রিয়াজ হত্যা মামলায় পলককে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

রিমান্ডের স্বপক্ষে আদালতে যুক্তি তুলে ধরতে শুরু করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।

আদালতকে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অবৈধ প্রতিমন্ত্রী পলক জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ নারী শিক্ষার্থীসহ অন্যদের বেধড়ক পিটিয়ে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করেছিল। আন্দোলনের সময় ধানমন্ডি এলাকায় রিয়াজকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন পলক।

রাষ্ট্রপক্ষের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন পলকের আইনজীবী। তাঁর আইনজীবী আদালতকে বলেন, সম্প্রতি একটানা পলকের ১২ দিন রিমান্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর আগেও তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন।

আদালত শুনানি নিয়ে পলকের তিন দিনের রিমান্ডের করেন। শুনানি চলাকালে পলক বিচারকের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়েছিলেন।

সুলাইমান ও সাফির কথোপকথন

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলের সাফি আজ শুরুর দিকে কাঠগড়ায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে অন্য আসামিদের শুনানির সময় কাঠগড়ায় সাফি ও সুলাইমান নিজেদের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথা বলেন।

রামপুরা থানায় দায়ের করে একটি হত্যা মামলায় সাফিকে রিমান্ডে নেওয়ার বিষয় যুক্তি তুলে ধরেন পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি আদালতকে বলেন, এই আসামি চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তিনি পুলিশে নিয়োগ–বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন। তাঁরা পিতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তিনি একটি গ্যাং তৈরি করেছিলেন।

তবে এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য রাখেন সাফির আইনজীবী। তিনি আদালতকে বলেন, তাঁর মক্কেলকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। তাঁর পিতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। পিতার দায় সন্তানের ওপর চাপানো হচ্ছে।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত সাফির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তিনি নির্বাক ছিলেন।

মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আতিকুল ও মহিবুল

সাবেক সিনিয়র সচিব মো.

মহিবুল হক ও ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে আজ দুই হাত পেছনে রেখে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয়। কাঠগড়ায় তাঁরা চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

দুজন কিছুক্ষণ নিজেদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। মহিবুলকে তেজগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অপর দিকে আতিকুল ও সালমানকে ভাটারা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শেষ হলে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।

তখন পুলিশ আবার কাঠগড়ায় সালমান, পলক, মহিবুল, সুলাইমান ও সাফির হাত দুখানা পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে দেয়। আবার তাঁদের মাথায় পরানো হয় হেলমেট। মুখের সামনে অংশ ঢেকে দেওয়া হয় গ্লাসে।

সালমান, আতিকুল, মহিবুলদের আদালত ভবনের দোতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ২৭ জন মন্ত্রী গ্রেপ্তার হন। তাঁরা কারাগারে আছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন হাসিনা সরকারের ৬ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী। হাসিনার ৩ উপদেষ্টাও গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর বাইরে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন সাবেক ৪৩ জন সংসদ সদস্য ও সাবেক ১১ জন আমলা।

গত ৫ আগস্টের পর আনিসুল, সালমানসহ সাবেক অন্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব, মেয়রদের এক হাতে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হতো। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে আনিসুল, সালমানসহ বেশ কয়েকজনকে দুই হাত পেছনে নিয়ে উভয় হাতে হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানা থেকে আদালতে তোলা হয়েছে।

আজও সালমান, পলকদের দুই হাত পেছনে নিয়ে উভয় হাতে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা প্রসঙ্গে পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘ইদানীং সালমান, আনিসুলসহ বেশ কয়েকজন আসামিকে দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। মূলত বেশ কয়েকজন আসামি হাজতখানা থেকে আদালতে তোলার সময় হাত উঁচু করে চিৎকার করে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিতে চান। তাঁরা যাতে হাত উঁচু করে এ ধরনের কথাবার্তা না বলতে পারেন, সে জন্য তাঁদের হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হচ্ছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওমর ফ র ক ফ র ক আইনজ ব র র আইনজ ব ন র সময় ক ঠগড় য় হ জতখ ন র স মন সদস য পলক র হ তকড় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

এক-এগারোর মতো ঘটনা ঘটা এখানে অস্বাভাবিক কিছু নয়

নেতা–কর্মীদের সতর্ক করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকি, আমরা যদি সতর্ক না থাকি তাহলে এক-এগারোর মতো ঘটনা ঘটা এখানে অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে আইনজীবীদের ভূমিকা: আলোচনা ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব।

সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুব সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কিন্তু খুব একটা সূক্ষ্ম তারের ওপর দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু চারদিকে আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানেন, চারদিকে একটু চোখ–কান খোলা রাখেন। দেখবেন কতগুলো ঘটনা ঘটছে, যে ঘটনাগুলোর আলামত ভালো না। এদিকে একটু লক্ষ রাখতে হবে।’

দেশের মানুষ সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন কী, সেটি বোঝে না বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই সংস্কার হোক। সাধারণ মানুষ কিন্তু চায় যে একটা নির্বাচন হোক, সে নির্বাচন থেকে নতুন সরকার আসুক। যে সরকার তারা নির্বাচিত করতে পারবে, যে প্রতিনিধি তারা নির্বাচন করবে। তাদের কথা বলার লোক তারা পার্লামেন্টে (সংসদ) নিতে চায়। এটা খুব সহজ হিসাব।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই যে বিষয়গুলো তৈরি করা হচ্ছে কেন? এই বিতর্কগুলো তৈরি করা হচ্ছে কেন? এর পেছনে আপনি যদি মনে করেন এমনি এমনি করা হচ্ছে, তা নয়। এর পেছনে একটা বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। সেই উদ্দেশ্যটা সেই এক–এগারোতে ফিরে যাবেন, সেই উদ্দেশ্যটা, সেই একেবারে ফিরে চলে যাবেন এরশাদ সাহেবের ক্ষমতা দখল করা পর্যন্ত। এ দেশে গণতন্ত্রকে চলতে দিতে চায় না। একটা মহল আছে যারা বারবার গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরে। এমনকি শেখ মুজিবুর রহমানও এই কাজটা করেছেন একদলীয় শাসনব্যবস্থা (বাকশাল) প্রবর্তন করে।’

বিএনপি লিবারেল ডেমোক্রেসি (উদার গণতন্ত্র) চায় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের দেশের জনগণ তার ভোটের অধিকার ফিরে পাক। সে ভোট দিক। ভোট দিয়ে তার প্রতিনিধি সে নির্বাচিত করুক। পার্লামেন্ট (সংসদ) তৈরি হোক, সরকার তৈরি হোক। তারা চালাবে পাঁচ বছর। সেই পাঁচ বছরে যদি তারা ব্যর্থ হয়, না পারে, আবার নির্বাচন হবে। নির্বাচনে জনতা তাদের বাদ দিয়ে দেবে, অন্য দলকে দেবে। তাই তো? এই জায়গাটায় যেতে এত তর্ক–বিতর্ক কেন?

নির্বাচনের জন্য আর দেরি করা অধ্যাপক ইউনূসের সরকারের জন্য সঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির শুরুতে যে ডেডলাইন (সময়সীমা), এর পরে হলে আপনি যে সম্মান নিয়ে এসেছেন, সমগ্র বিশ্বে আপনার যে সম্মান, সেই সম্মান ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।’

সভায় প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা গত এক বছরে বাংলাদেশের জন–আকাঙ্ক্ষার যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন এবং পুরা জিনিসটাই আপনি সংস্কারের নামে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে এত বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন; শেষ পর্যন্ত আমার কাছে মনে হচ্ছে, এটা আমার ব্যক্তিগত অপিনিয়ন (মতামত), সংস্কারের নামে অপসংস্কার কুসংস্কার তৈরি করে নিয়ে যাবেন। একটু থামেন, আপনার তো এত ম্যান্ডেট নাই। সবকিছু নিয়েই আপনি বসে পড়েছেন। জুলাই সনদ হবে, জুলাই ঘোষণা হবে, সবই ঠিক। আর কত সময় নেবেন?

তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে কিন্তু খুব বেশি সময় নাই। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর কোনো ব্যত্যয় যেন না ঘটে। আইনজীবীসহ সারা দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে আবার রাজপথের আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আমাদেরকে বাধ্য করবেন না।’

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঐকমত্য দেখি না, নির্বাচনের রোডম্যাপ দেখি না। গণতন্ত্রের পথে হাঁটুন, আইনজীবীরা কালো কোট পরে মাঠে নামলে কেউ থাকতে পারে না। নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে বিদায়ের চিন্তা করুন।’ সরকারে থাকা দুই তরুণ উপদেষ্টাকে যেন তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, সেই আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি জানান তিনি।

সভার শুরুতেই একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. কামাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সদস্যসচিব গাজী তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হতাহতের ছবি-ভিডিও সরাতে ও ছড়িয়ে পড়া বন্ধে পদক্ষেপ চেয়ে রিট, আদেশ ৩ আগস্ট
  • এক-এগারোর মতো ঘটনা ঘটা এখানে অস্বাভাবিক কিছু নয়
  • সুরাইয়া মতিনের মৃত্যুতে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের শোক
  • ‎আবু সাঈদ হত্যা: ৬ আগস্ট অভিযোগ গঠনের আদেশ 
  • আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ৬ আগস্ট
  • শিক্ষকের মুক্তি চেয়ে শিক্ষার্থীদের আদালত চত্বরে অবস্থান, সড়ক অব
  • কিশোরগঞ্জে আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতি, ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট
  • আবু সাঈদ হত্যা: ‘ঘটনাস্থলে ছিলেন না’ দাবি করে দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন
  • দুদকের মামলায় রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার কারাগারে
  • বরগুনায় বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন আদালতে নাকচ