হবিগঞ্জের সাবেক এমপি আবু জাহিরসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 14th, March 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু জাহিরসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইমরান মিয়া নামের এক ব্যক্তি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, “মামলাটি গ্রহণ করে এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই বিশ্বজিৎকে।”
মামলার বাদী ইমরান মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের তাউছ মিয়ার ছেলে।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে বিএনপি অফিসে বোমা হামালার ঘটনায় মামলা
চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর ওপর হামলা, থানায় মামলা
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আতাউর রহমান সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী ও হবিগঞ্জ জেলার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাক ফয়জুর রহমান রবিন, রুবেল মহালদার, মাহবুবুল তালুকদার, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, শাহ আলমগীর, আলম মিয়া, মাহফুজুর রহমান বাবুল, মোবারক মিয়া, সেলিম মিয়া, হোসাইন মো.
আসামিদের বিরুদ্ধে মামলায় ৪ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলায় বাদী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন বলে দাবি করেছেন।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব