বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু জাহিরসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইমরান মিয়া নামের এক ব্যক্তি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, “মামলাটি গ্রহণ করে এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই বিশ্বজিৎকে।”

মামলার বাদী ইমরান মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের তাউছ মিয়ার ছেলে।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপি অফিসে বোমা হামালার ঘটনায় মামলা

চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর ওপর হামলা, থানায় মামলা

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আতাউর রহমান সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী ও হবিগঞ্জ জেলার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাক ফয়জুর রহমান রবিন, রুবেল মহালদার, মাহবুবুল তালুকদার, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, শাহ আলমগীর, আলম মিয়া, মাহফুজুর রহমান বাবুল, মোবারক মিয়া, সেলিম মিয়া, হোসাইন মো.

আক্তার, দেবাশীষ রায় পোদ্দার, মো. মুখলিছ মিয়া, তাজুল ইসলাম, আকাশ মহালদার, খলিল মিয়া, ফখর উদ্দিন সাজিদ, বকুল মিয়া, হাজী মো. ইকবাল, হোসাইন মো. রেজা, সজল মিয়া, রিপন মিয়া, মিলন মিয়া, ছালেক মিয়া, হারুন মিয়া, এনু মিয়া, রবিউল আউয়াল, সুজন রায়, তৈয়বুর রহমান স্বপন, পংকজ কুমার সাহা, জয়নাল চৌধুরী, শাকিব মহালদার, রাসেল মিয়া, জানু মিয়া, জিলু মিয়া, শফিউল আলম সানি ও লোকমান হোসেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে মামলায় ৪ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলায় বাদী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন বলে দাবি করেছেন।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম যদি মানুষের প্রয়োজনে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে না পারে, শিশুদের জন্য নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে না পারে, তাহলে সে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

আমরা বিএনপি পরিবার আর মায়ের ডাক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিশুদের (গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্তান) পুনর্বাসনের জন্য একটি স্পেশাল সেল গঠন করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কাজটি হয়নি। আশা করব, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য কিছু করবে।’

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন করা হয়েছে। এই কমিশন এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট নাকি করেছে। কিন্তু তাদের এই যে খোঁজ করা, এ বিষয়ে খুব বেশি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।’

গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে এলে ‘ভারাক্রান্ত হন’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পরিবারগুলো যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমরা কিন্তু সেই ত্যাগ অনেকেই করতে পারিনি। যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশুদের বলতে শুনি যে আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই, বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে চাই, ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতে চাই, তখন আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’

গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে, ২৯ জুলাই

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাদের কাছে এসে সমস্যার কথা বলছে মানুষ: মির্জা ফখরুল
  • মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল