পিকলবল খেলতে গিয়ে আহত ভাগ্যশ্রী, কপালে পড়ল ১৩ সেলাই
Published: 14th, March 2025 GMT
গুরুতর আহত হয়েছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। পিকলবল খেলতে গিয়ে কপালে আঘাত পেয়েছেন ৫৬ বছরের এই অভিনেত্রী। তার কপালে ১৩টি সেলাই পড়েছে। পিঙ্কভিলা এ খবর প্রকাশ করেছে।
১৩ মার্চ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভাগ্যশ্রীর একাধিক ছবি। একটি ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় চোখ বুজে শুয়ে আছেন ভাগ্যশ্রী। চিকিৎসক তার কপালে ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে ভাগ্যশ্রীর কপালে ব্যান্ডেজ লাগানো দেখা যায়। প্রিয় অভিনেত্রীকে এমন অবস্থায় দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
আশির দশকের শেষ লগ্নে বলিউডে পা রাখেন ভাগ্যশ্রী। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমায় সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ওই সময়ে নতুন জুটি হলেও দর্শকদের মন কাড়েন তারা। অভিষেক চলচ্চিত্র বদলে দেয় ভাগ্যশ্রীর ভাগ্য। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে।
আহত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিনেত্রীর অনুরাগীরা আরোগ্য কামনা করেছেন। অনেকের পরামর্শ দিচ্ছেন,‘ভবিষ্যতে খেলার সময়ে আরও সতর্ক থাকবেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক