আইপিএলের দল দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জাতীয় দলের বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলকে। অক্ষর ২০১৯ সাল থেকে দিল্লিতে খেলছেন। আসন্ন আসরের জন্য তাকে সাড়ে ১৬ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছিল দিল্লি। 

গত মৌসুমে দিল্লির অধিনায়ক ছিলেন ঋষভ পান্ত। কিন্তু এবার তিনি দিল্লি শিবিরে নেই। রেকর্ড ২৭ কোটি রুপিতে লক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টে গেছেন বাঁ-হাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। যে কারণে তার জায়গায় অক্ষরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

নতুন দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত অক্ষর, ‘দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক করায় আমি আনন্দিত। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক ও কোচিং স্টাফ আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি কৃতজ্ঞ। খেলোয়াড় ও মানুষ হিসেবে দিল্লিতে খেলে আমি বেড়ে উঠেছি। আমি দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত ও আত্মবিশ্বাসী।’ 

অক্ষর দুই মৌসুম দিল্লির সহ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঋষভ পান্তের নিষেধাজ্ঞায় এক ম্যাচে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেটে গুজরানের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এই অলরাউন্ডার। 

দিল্লি ক্যাপিটালসের চেয়ারম্যান কিরণ কুমার গান্ধী বলেছেন, ‘আমরা অক্ষরকে অধিনায়ক বানাতে পেরে উচ্ছ্বসিত। ২০১৯ সাল থেকে তিনি দিল্লি পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সহ অধিনায়ক থেকে অধিনায়ক, তার নেতৃত্বভার পাওয়া স্বাভাবিক নেতৃত্বগুনের অংশ। দলের দরকারে সে সবসময় অগ্রগামী থেকেছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ল ল ক য প ট লস ক য প ট লস র

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা

অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।

সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।

স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫
  • মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
  • আইপিএলে কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরাতে চেয়েছিলেন কারস্টেন