কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার অধিক মূল্যের ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কাবিলা বাজারে চোরাচালান প্রতিরোধে গঠিত টাস্কফোর্সের অভিযানে আতশবাজিগুলো জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার দত্তসহ বিজিবি ও র্যা ব সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্স কাবিলা বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় মহাসড়কের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মালপত্র বোঝাই একটি ট্রাকে তল্লাশী করে ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৪০০টি বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি পাওয়া যায়।
কুমিল্লা ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আতশব জ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।