ডিম কিনতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার ১০ বছরের শিশু
Published: 14th, March 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে ডিম কিনতে গিয়ে ১০ বছর বয়সী এক কন্যা শিশু শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতা জিল্লুর রহমান জিল্লুকে (৩১) আটক করে পুলিশে দিয়েছে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমান জিল্লু পাবনার ঈশ্বরদী থানার চরকুড়ুলিয়া গ্রামের মল্লিক পাড়ার খালেক মল্লিকের ছেলে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতেই ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ ও বাদীর এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় দিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার চরকুড়ুলিয়া গ্রামের মল্লিক পাড়ার আব্দুল খালেক মল্লিকের ছেলে জিল্লুর রহমান জিল্লু ফেরি করে দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে ডিম বিক্রি করতে যান। এসময় একই গ্রামের চান্দু মিয়ার ১০ বছর বয়সী কন্যা শিশু ডিম কিনতে গেলে ডিম বিক্রেতা জিল্লু শিশুটিকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। শিশুটি ভয়ে পালিয়ে এসে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানায়।
শিশুটির পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ডিম বিক্রেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এদিন রাতেই শিশুটির পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
তিনি বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ল ল র রহম ন জ ল ল পর ব র র
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ