জাতীয় পার্টিকে বর্জন করুন, রংপুরবাসীর উদ্দেশে রাশেদ খান
Published: 15th, March 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, জাতীয় পার্টি স্বৈরাচারের দোসর। একটা কুলাঙ্গার পার্টি। এই পার্টি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আমি রংপুরবাসীকে বলব, জাতীয় পার্টিকে বর্জন করুন। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশকে কলুষিত করেছে।
গণঅধিকার পরিষদের রংপুর জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে শুক্রবার ইফতার ও দোয়া মাহফিলে রংপুরে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন তিনি। রাশেদ খান বলেন, জাতি একটি সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। আগামীতে কবে ইলেকশন হবে এ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। গণহত্যার বিচারের আমরা যে ধরনের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছিলাম, গত সাত মাসেও সে ধরনের পদক্ষেপ লক্ষ্য করছি না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম উপাদান হলো নির্বাচন। আমরা মনে করি, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। তার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার সরকারকে করতে হবে। একই সঙ্গে গণহত্যার বিচার হতে হবে, সেটা নিয়ে তালবাহানা চলবে না। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, এটি আমাদের স্পষ্ট ভাষা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ বুধবার ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’
ফিলিস্তিন সংকট সমাধান: সবার দৃষ্টি জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুর্নব্যক্ত করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
গাজা পুনর্গঠনে আরব পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তত রয়েছে। তিনি গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাধা দেয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা সর্বাত্বকভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।
২০২৩ সালের অক্টোবরের পর হতে গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি আক্রমণের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ এবং একটি স্থায়ী সমাধানের পথ সুগম করতে জাতিসংঘের সদস্যদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার জন্য ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘জাতিসংঘ হাইলেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু-স্টেট সল্যুশন’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এতে বাংলাদেশসহ ১১৮টি দেশের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ