একই সাবান পরিবারের সবাই ব্যবহার করা কি ঠিক
Published: 16th, March 2025 GMT
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ সাবান। সাবানের অনেক ধরন। কোনোটা সুগন্ধি, কোনোটা জীবাণুর বিরুদ্ধে বেশি শক্তিশালী। কোনোটাতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি, কোনোটা একটু কোমল। হাত ধোয়ার জন্য তরল সাবানও পাওয়া যায় আজকাল। শাওয়ার জেল বা ইমোলিয়েন্টও একধরনের সাবানই বটে। সাবানের ধরন যেমনই হোক না কেন, অনেক পরিবারেই একাধিক সদস্য একই সাবান ব্যবহার করেন। আদতে কি ব্যাপারটা স্বাস্থ্যকর?
সাবান ত্বককে পরিষ্কার করে। তাতে ধূলাময়লা ও রোগজীবাণু থেকে ত্বক থাকে সুরক্ষিত। ত্বকের জীবাণু নাক, মুখ বা চোখের সাহায্যে দেহের ভেতর ঢুকে পড়লেও মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে। তাই ত্বক পরিষ্কার করার গুরুত্ব অনেক বেশি। তবে সাবান কেবল এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটুকুই করে না, বরং সাবান ত্বকে আর্দ্রতাও জোগায়। তরল সাবান, শাওয়ার জেল বা ইমোলিয়েন্ট এবং কম ক্ষারীয় সাবানের বার তুলনামূলক কোমল। আর্দ্রতা বেশি পাওয়া যায় এসব সাবান থেকে। পরিবারের সদস্যদের বয়স, ত্বকের অবস্থা, পেশা প্রভৃতির কারণে ভিন্ন ধরনের সাবান প্রয়োজন হতে পারে। সবদিক বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, একই সাবান সবার ব্যবহার করা উচিত হবে কি না। এ বিষয়ে জানালেন হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা.
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণ যেকোনো সাবানই ভালো। তবে মুখমণ্ডলের জন্য কোমল সাবান কিংবা ফেসওয়াশ বেছে নেওয়া প্রয়োজন। মুখমণ্ডল, কুঁচকি ও তলপেটের নিম্নাংশের ত্বক বেশ সংবেদনশীল। এই অংশের ত্বকে অবশ্যই খুব কোমল সাবান প্রয়োগ করা উচিত। কোমল সাবান ত্বককে আর্দ্র রাখে। হাত-পায়ের জন্য জীবাণুনাশী সাবান বেছে নেওয়া যেতে পারে। এগুলো অবশ্য একটু ক্ষারীয়।
বাইরের ধুলাবালুতে যাঁদের লম্বা সময় কাজ করতে হয় কিংবা যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাঁদের মুখমণ্ডল, কুঁচকি ও তলপেটের নিম্নাংশের ত্বক ছাড়া বাকি সব অংশের ত্বকের জন্য জীবাণুনাশী সাবান বেছে নেওয়া ভালো।
শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য প্রয়োজন কোমল সাবান। তবে পায়ের নিচটায় সাবান লেগে থাকলে পিছলে পড়ার ঝুঁকির কথাও মাথায় রাখুন। বিশেষত বয়স্কদের ক্ষেত্রে পায়ের নিচের সাবান ভালোভাবে ধুয়ে ফেলার বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে সবার জন্যই এমন সাবান বেছে নেওয়া উচিত, যা আর্দ্রতা দেয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ষ ক র আর দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।