মঞ্চে নগরবাউলখ্যাত জেমস মানেই শ্রোতাদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। এবার এই রকস্টার পাড়ি জমাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে, সেখানে টেক্সাসের ডালাস শহরে গাইবেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন। 

আগামী ১৪ জুন নগরবাউল মাতিয়ে তুলবেন ডালাসের প্ল্যানো ইভেন্ট সেন্টার। আয়োজকরা বলছেন, এটি হবে বাংলাদেশের কোনো ব্যান্ডের জন্য সবচেয়ে বড় ও ঐতিহাসিক এক কনসার্ট।
ইতোমধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম টিকিটফাইওস.

কমে ‘চ্যাপ্টার টু: জেমস লাইভ ইন ডালাস’ শীর্ষক এ কনসার্টের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান মুনলাইট ইভেন্টস জানায়, বিশাল একটি ভেন্যুকে ৮টি ধাপে ভাগ করে টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে টিকিটের দাম ৪৯ ডলার থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত।

আয়োজকদের অন্যতম সাজ্জাদুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ‘ডালাসে এর আগে এত বড় ভেন্যুতে কোনো বাংলাদেশি ব্যান্ড পারফর্ম করেনি। এটি শুধু একটি কনসার্ট নয়, আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ভক্তদের জন্য এটি হবে বিরল এক সুযোগ। জেমস নিজেও মুখিয়ে আছেন তাঁর ভরাট কণ্ঠ আর গিটারে ঝড় তুলতে।’ এর আগে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে নগরবাউলের ১০টি কনসার্ট করার কথা থাকলেও ব্যান্ডটির জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে শেষ পর্যন্ত তাদের ২৫টি শো করতে হয়েছিল! এবারের সফরেও এমন কিছু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

নগরবাউলের বর্তমান লাইনআপে রয়েছেন ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ভোকাল, গিটার), আহসান এলাহি ফান্টি (ড্রামস), সুলতান রায়হান খান (গিটার) ও তালুকদার সাব্বির (বেজ গিটার)। গত কয়েক মাস ধরে দেশ ও দেশের বাইরের কনসার্ট নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন জেমস। ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে একাধিক কনসার্ট করেছেন তিনি। দেশগুলোতে বেশ কয়েকটি কনসার্টের শিডিউল দেওয়া আগামীতেও। ফলে বিদেশের দর্শকদের গান শোনানোর এই ব্যস্ততা সহসাই কাটছে না জেমসের। 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনস র ট কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

মশা নিধনে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে

চট্টগ্রামে এডিস মশার প্রজনন ও লার্ভার ঘনত্ব গত এক বছরে দ্বিগুণ হয়েছে, আর এর সরাসরি ফল ভোগ করছেন নগরবাসী। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, এবার ডেঙ্গুর চেয়েও চিকুনগুনিয়া ঘরে ঘরে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, যা এক নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। মশা নিধনে কার্যকর ও সমন্বিত উদ্যোগের অভাবই এ রোগের দ্রুত বিস্তারের প্রধান কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। চট্টগ্রামে এভাবে জনস্বাস্থ্য ভেঙে পড়ার বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, চট্টগ্রাম নগর এডিস মশাবাহিত রোগের জন্য এখন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। গত বছর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগ একই ধরনের জরিপ চালিয়েছিল। এই দুই জরিপের তুলনামূলক চিত্র আমাদের সামনে এক ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরে—এডিস মশার প্রজনন ও লার্ভার ঘনত্ব দুটিই আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

২০২৪ সালে চট্টগ্রামে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব (ব্রুটো ইনডেক্স) ছিল ৩৬ শতাংশ, যা এবার আইইডিসিআরের গবেষণায় পৌঁছেছে ৭৫ দশমিক ২৯ শতাংশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান যেখানে ২০ শতাংশ, সেখানে চট্টগ্রামের এ চিত্র রীতিমতো ভয়াবহ। বাসাবাড়িতেও লার্ভার উপস্থিতি বেড়েছে। গত বছর ৩৭ শতাংশ বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেলেও এবার তা প্রায় ৪৮ শতাংশে পৌঁছেছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবার ডেঙ্গুর চেয়ে চিকুনগুনিয়ার রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আবার অনেকের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটিই হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। চলতি বছরেই ৭৬৪ জনের চিকুনগুনিয়া ও ৭৯৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে এবং ডেঙ্গুতে আটজন প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে ছয়জনই মারা গেছেন এই জুলাই মাসে।

সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আইইডিসিআরের সুপারিশগুলো সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজ চলছে। সিটি করপোরেশনের মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম দাবি করছেন যে মশকনিধনে ক্রাশ কর্মসূচি চলছে এবং নতুন জরিপ অনুযায়ী হটস্পট ধরে কাজ করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হলো এ উদ্যোগগুলো কি যথেষ্ট? লার্ভার ঘনত্ব যেখানে তিন-চার গুণ বেশি, সেখানে গতানুগতিক কর্মসূচির ওপর নির্ভর করলে চলবে না।

মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার কোনো বিকল্প নেই। এ কাজে সিটি করপোরেশনকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। বাসাবাড়িতে নানা জায়গায় জমে থাকা স্বচ্ছ পানিও এডিস মশার প্রজননের জন্য যথেষ্ট। ফলে নাগরিকদের সচেতনতা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম শহরকে মশাবাহিত রোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে হলে স্থানীয় প্রশাসন, নগর কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে; নগরবাসীকে দ্রুত তৎপর হতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মশা নিধনে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে
  • স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও মহাসড়কে প্রতীকী ক্লাস করলেন শিক্ষার্থীরা
  • প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচের পরও ডুবছে চট্টগ্রাম