এখনো বাংলাদেশে পা রাখেননি হামজা চৌধুরী। তার আগেই যেন হামজা জ্বরে কাঁপছে দেশের ফুটবল। লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার ঘোষণার পর থেকে আলোচনার শুরু। দিন যত যাচ্ছে তত বাড়ছে আলোচনার ঝড়।
অবশেষে হামজার পা পড়তে যাচ্ছে দেশের মাটিতে। সোমবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট বিমানবন্দরে নামবেন শেফিল্ড ইউনাইটেড তারকা। এরপর যাবেন হবিগঞ্জের বাহুবলে গ্রামের বাড়ি স্নানঘাটে।
১৭ মার্চ হামজা থাকবেন গ্রামের বাড়িতে। পরদিন ১৮ তারিখ মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ দলের টিম হোটেলে যোগ দেবেন হামজা। এদিন সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে এফএ কাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের।
আরো পড়ুন:
৭২ ঘণ্টার বিশ্রাম ছাড়া ম্যাচ খেলতে নামবে না রিয়াল
মালিকের ‘কিছু ফুটবলার অতিরিক্ত বেতন পায়’ মন্তব্যের জবাব দিলেন ব্রুনো
পরদিন ১৯ মার্চ দলীয় অনুশীলনে যোগ দেবেন হামজা। ২০ মার্চও অনুশীলনের কথা রয়েছে। অনুশীলন শেষে বিকেলে উড়াল দেবেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে। ৫ দিন অনুশীলন সেরে ২৬ মার্চ ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ঢাকা হয়ে ২৮ মার্চ আবার লন্ডন ফেরার কথা রয়েছে হামজার।
হামজার সঙ্গে বাংলাদেশে আসবেন তার পরিবারের সদস্যরাও। এ জন্য সবধরণের আয়োজন রেখেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। হামজার পরিবারের জন্য টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।
নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে চার সদস্যের দল গঠন করেছে বাফুফে। তারা সিলেটে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে হামজা ও তার পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।