বকেয়া বেতন প্রদান, কারখানা খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি কারখানার শ্রমিকেরা।

আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত উপজেলার মাওনা-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়কের কেওয়া এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা।

কারখানাটির নাম সোলার সিরামিকস। কারখানাটির শ্রমিক ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক সমস্যা ও পর্যাপ্ত কার্যাদেশ না পাওয়ায় ২ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ আবারও ১৭ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় সড়কটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কারখানার শ্রমিক মো.

রাসেল মিয়া জানান, শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন পাওনা আছে। পরিবারের কথা বিবেচনা করে ঈদের আগে এগুলো পরিশোধ করা উচিত। অথচ টাকা না দিয়ে তারা কারখানা বন্ধ করেছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, শ্রমিকেরা আজ সকালে মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে। মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাবি আদায়ের বিষয়ে আশ্বাস দিলে তাঁরা অবরোধ তুলে নিয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ