উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি স্থবির হয়ে পড়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত আট মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার মাত্র ২৪ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা গত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে কম। একক মাস হিসেবে ফেব্রুয়ারির বাস্তবায়নে গত বছরের একই মাসের অর্ধেকের মতো। মাসটিতে বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এডিপির ব্যয় প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা কম হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত আট মাসে এডিপির প্রকল্পগুলোতে মোট ব্যয় হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৫ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের একই সময়ের চেয়ে ব্যয় কমেছে ১৮ হাজার ৫০ কোটি টাকা।
উন্নয়ন ব্যয়ে এ স্থবিরতার কারণ জানতে চাইলে আইএমডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দায়িত্বে আসা অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেয়। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন স্থগিত রাখা হয়। কিছু প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়। এ কারণে অনেক প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার অর্থবছরের শুরুর দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাস্তবায়ন কাজ বিঘ্নিত হয়েছে।
আইএমইডির প্রতিবেদন একক মাসের হিসাবে গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই মাসে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ একক মাস হিসাবে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে গত বছরের একই মাসের চেয়ে বাস্তবায়নে খরচ কম হয়েছে ৩ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছর ১ হাজার ৩২৭টি প্রকল্প, ১৭টি উপপ্রকল্প ও উন্নয়ন সহায়তা থোক হিসাবে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বিপরীতে মূল এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। তবে বাস্তবায়নে স্থবিরতার কারণে কাটছাঁট করে সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) আকার রেকর্ড পরিমাণ ছোট করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে ব্যয় কমানো হয়েছে ১৮ শতাংশ বা ৪৯ হাজার কোটি টাকা। এতে আরএডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এড প বছর র একই প রকল প ব
এছাড়াও পড়ুন:
তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
আর মাত্র এক দিনের অপেক্ষা। এরপরই শুরু হবে বহুল আলোচিত ক্লাব বিশ্বকাপের মহারণ। রোববার সকাল ছয়টায় স্বাগতিক ইন্টার মায়ামি ও আল আহলির মধ্যে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আন্তমহাদেশীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই।
এরই মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফিকে পাখির চোখ করে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে দলগুলো। যেখানে এক মাসব্যাপী দেখা যাবে তারার দ্যুতিও। তবে ক্লাবের বিশ্বকাপের ঝলমলের প্রদীপের নিচে আছে কিছু অন্ধকারও।নিয়মের কারণে বেশ কিছু শীর্ষ দল ও তারকাদের এই টুর্নামেন্টে থাকতে হবে দর্শক হয়ে। ক্লাবগুলোর মধ্যে যে তালিকায় আছে ইউরোপে চলতি মৌসুমের তিনটি চ্যাম্পিয়ন দলও।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে কেবল বুন্দেসলিগাজয়ী বায়ার্ন মিউনিখ এবং ফরাসি লিগ আঁ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল, লা লিগা বিজয়ী বার্সেলোনা এবং সিরি ‘আ’ চ্যাম্পিয়ন নাপোলিকে দেখা যাবে না এই প্রতিযোগিতায়।
আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে রিয়াল মাদ্রিদ যেখানে ব্যতিক্রম৮ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনা, লিভারপুল এবং নাপোলি কেন জায়গা পায়নিফিফার ঠিক করা নিয়ম অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সময়ের মধ্যে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় যারা মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপে তারাই শুধু জায়গা পাবে। এ নিয়ম অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪—এই চার বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী চেলসি (২০২১), ম্যানচেস্টার সিটি (২০২৩) ও রিয়াল মাদ্রিদ (২০২২ ও ২০২৪) ক্লাব বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে।
দারুণ ছন্দে থাকা বার্সা ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়নি