ভারতে হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার দলটির মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিজ দেশের মুসলমানদের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি ভারতের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভারত স্বাধীন করতে সেখানকার ওলামায়ে কেরাম ও মুসলমানদের অবদান ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। সেই ভারতে বিজেপি শাসনামলে যেভাবে মুসলমানদের সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে, কল্পনাও করা যায় না।’

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘নামাজের মতো একটি একান্ত ও প্রাত্যহিক ইবাদতও এখন ভারতে আদায় করা যায় না। প্রায়ই নামাজরত মুসলমানদের ওপরে হামলার সংবাদ পাওয়া যায়। সংখ্যালঘু মুসলমানদের সঙ্গে ভারতের এই আচরণ কলঙ্কজনক। ভারতকে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে। ভারতের মুসলিমরাই শুধু নয়; সেখানকার খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও পাহাড়ি জনগণও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সহিংসতার শিকার।’

বিজেপি শাসকগোষ্ঠী এই ধর্মীয় সহিংসতার বিস্তার ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করে ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘বিজেপি যেভাবে ধর্মকে সহিংসতার উপলক্ষ বানিয়েছে, হিন্দু ধর্মমতেও তা সিদ্ধ নয়। এ জন্য ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের বিজেপির সহিংসতার নিন্দা করা উচিত। বাংলাদেশে হিন্দু আর মুসলমান মিলেমিশে একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখানে হিন্দুদের উৎসবে মুসলমানরা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে, আর মুসলমানদের ইবাদতে হিন্দুরা সহযোগিতামূলক আচরণ করছে। প্রকৃতপক্ষে এভাবেই সভ্যতা টিকে থাকে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম সলম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 

মেঘ রোদের লুকোচুরির সকালে শিল্পী সোহানী মজমুদার সেতার বাদনে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষাকাল উদযাপনের আয়োজন। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।

আষাঢ়ের প্রথম দিন এই আয়োজনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। গানে, কথনে, আবৃত্তিতে বর্ষা বন্দনা করা হয়। 

আয়োজনে রাগ ভৈরবীর পর বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। ঘোষণা পাঠ করেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।

কথনের পর মূল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকেই।

এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অনেকেই।

দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।

এছাড়া ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • ভারতে কোনো বাংলাদেশি থাকলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, সামরিক কুচকাওয়াজ ঘিরে উত্তেজনা
  • যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, সামরিক কুচকাওয়াজ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • ইরানে ইসরায়েলের হামলা বিশ্বকে বড় ঝুঁকিতে ফেলেছে: খেলাফত মজলিস