ভারতে হোলি উৎসবে মুসলিমদের নির্যাতনের ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের উদ্বেগ
Published: 18th, March 2025 GMT
ভারতে হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার দলটির মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিজ দেশের মুসলমানদের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি ভারতের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভারত স্বাধীন করতে সেখানকার ওলামায়ে কেরাম ও মুসলমানদের অবদান ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। সেই ভারতে বিজেপি শাসনামলে যেভাবে মুসলমানদের সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে, কল্পনাও করা যায় না।’
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘নামাজের মতো একটি একান্ত ও প্রাত্যহিক ইবাদতও এখন ভারতে আদায় করা যায় না। প্রায়ই নামাজরত মুসলমানদের ওপরে হামলার সংবাদ পাওয়া যায়। সংখ্যালঘু মুসলমানদের সঙ্গে ভারতের এই আচরণ কলঙ্কজনক। ভারতকে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে। ভারতের মুসলিমরাই শুধু নয়; সেখানকার খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও পাহাড়ি জনগণও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সহিংসতার শিকার।’
বিজেপি শাসকগোষ্ঠী এই ধর্মীয় সহিংসতার বিস্তার ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করে ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘বিজেপি যেভাবে ধর্মকে সহিংসতার উপলক্ষ বানিয়েছে, হিন্দু ধর্মমতেও তা সিদ্ধ নয়। এ জন্য ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের বিজেপির সহিংসতার নিন্দা করা উচিত। বাংলাদেশে হিন্দু আর মুসলমান মিলেমিশে একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখানে হিন্দুদের উৎসবে মুসলমানরা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে, আর মুসলমানদের ইবাদতে হিন্দুরা সহযোগিতামূলক আচরণ করছে। প্রকৃতপক্ষে এভাবেই সভ্যতা টিকে থাকে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম সলম ন
এছাড়াও পড়ুন:
থানায় হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়ার আহ্বান আইজিপির
থানায় জনগণকে হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
আইজিপি বলেন, “থানায় এসে কেউ যেন অপমানিত না হয়, থানার দরজা যেন মানুষের জন্য খোলা থাকে। থানার পরিবেশ যেন হয় সাহচর্যের, আতঙ্কের নয়। থানাই হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা।”
আইজিপি বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজের এর সম্মেলন কক্ষে ‘থানায় হয়রানিমুক্ত ও আইনগত সার্ভিস ডেলিভারি প্রদানের মাধ্যমে জনআস্থা পুনরুদ্ধারে পুলিশের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
লোহাগড়ায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত
সুনামগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত রেক্টর এস এম রোকন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ (ট্রেনিং) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল, ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাহারুল আলম বলেন, “আমাদের পেছনের পথ ছিল অনেক ভুল সিদ্ধান্তের ফলাফল। আমরা মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি।”
“আমাদের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আমরা যেন হয়রানিমুক্ত সেবা দেই। থানায় অভিযোগ করতে এসে কেউ যেন অপমানিত না হয়, থানার দরজা যেন মানুষের জন্য খোলা থাকে। আমাদের আচরণ যেন মানবিক হয় এবং আমরা যেন জনমুখী সেবা দিতে পারি।”
পুলিশ প্রধান বলেন, “জুলাই বিপ্লব কেবল একটি ঘটনা প্রবাহ নয়। এটি ছিল ন্যায়, মানবতা ও দায়িত্ববোধের এক জাগরণ। এ জাগরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সেবাই আমাদের প্রকৃত পরিচয়, জনগণই ক্ষমতার উৎস।”
কর্মশালায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৫৯ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ