রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক আলম মিয়া বোরকা পরে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হন। পরে গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশের কাছে হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত আলম মিয়া। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার বড় মির্জাপুর ইউনিয়নের নিভৃত এক গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পায়ে প্রতিবন্ধিতা রয়েছে মেয়েটির। রমজান উপলক্ষে তার বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে ওই শিক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার মৃত আবু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া (৪০) মেয়েটিকে জাপটে ধরে ভুট্টাক্ষেতের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির কান্না শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। 

আরো পড়ুন:

বাকৃবির রাজিয়া হলে চার গণরুমে ১২৬ ছাত্রী, ৩২ জনের একটি বাথরুম

দেশের ১১৬তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’

ধর্ষক ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। সন্ধায় অভিযুক্ত আলম মিয়া বোরকা পরে আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়। গণধোলাই দিয়ে রাতেই তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আসামি আলম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাত ৯টার দিকে তাকে বোরকা পরা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেডিকেল চেকআপের জন্য মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢাকা/আমিরুল/রাসেল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক আলম ম য়

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ

দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ