প্রায় ৪ দশক আগে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে আবির্ভূত হন পারভীন সুলতানা দিতি। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য এক উচ্চতায়। দেশের মানুষের কাছে হয়ে ওঠেন দারুণ জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী। শুধু দেশের মানুষের কাছে নয়, দিতি জনপ্রিয় ছিলেন তাঁর সমসাময়িক, আগের ও পরের প্রজন্মের শিল্পীদের কাছেও প্রিয় ও আপন। কারও সঙ্গে ছিল তাঁর দারুণ পারিবারিক সম্পর্কও।
বাংলাদেশি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাকের কথায় তার সত্যতা মেলে। জীবনকালে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘দিতি আমাকে বাবা বলে ডাকত। দিতির স্বামী সোহেল চৌধুরী (প্রথম স্বামী) ও আমার ছেলে বাপ্পা একসঙ্গে পড়ালেখা করেছে। সেই হিসেবে দিতি আমাদের পরিবারের সবার খুব আপন। আমাদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।’

আরও পড়ুনদিতি বলল, ‘কথা তো ছিল আমাকে জীবিত রাখবেন, মৌসুমী মারা যাবে’০৮ নভেম্বর ২০২৪অভিনেত্রী পারভিন সুলতানা দিতি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ