আওয়ামী লীগ কোনও দেশীয় শক্তি নয়, বরং এটি মূলত বিদেশ থেকে আসা একটি 'প্রতিস্থাপিত শক্তি' বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনও দেশীয় শক্তি নয়...বরং এটি মূলত বিদেশ থেকে সংগৃহীত একটি শক্তি। এর সুতা দিল্লিতে ধরা হয়, আর ঘুড়ি ওড়ে বাংলাদেশে। এই ঘুড়ি আর বাংলাদেশে উড়তে দেওয়া হবে না।

শুক্রবার ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের স্মরণে রাজধানীর নোফেল সোসাইটি আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনও দেশীয় শক্তি নয়, বরং এটি বিদেশ থেকে আসা একটি ‘প্রতিস্থাপিত শক্তি’।

মাহফুজ বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ সুযোগ পাবে, তখন অবশ্যই তা দেশের সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছি। আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা যে জয় অর্জন করেছি, তা রাজনৈতিক ও ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। যদি আমরা ঐক্য বজায় না রাখি এবং রাজনৈতিকভাবে লড়াই চালিয়ে না যাই, তাহলে আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে।

নির্বাচন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মাহফুজ বলেন, নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এবং সবাইকে এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।

মাহফুজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন যে নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এটি এই বছরের শেষের দিকে, ডিসেম্বরে হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যেই একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেই সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সবারই এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি দায়িত্বশীলভাবে কাজ করে, নাশকতা বন্ধ করে এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো যথাযথভাবে সহযোগিতা করে তাহলে সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন