আইপিএলের ১৮তম আসর শুরু হচ্ছে আজ। আরও একবার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগের উন্মাদনায় মাতবে ক্রিকেট–বিশ্ব। ১০ দলের এই আসরে এবার শিরোপা জিতবে কারা? টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলগুলোর শক্তি-দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা...

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

স্কোয়াড: ২২ জন
ভারতীয়: ১৪ জন
বিদেশি: ৮ জন

অধিনায়ক: রজত পতিদার

কোচ: অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার

শিরোপা: নেই

রিটেইনড (ধরে রাখা খেলোয়াড়): বিরাট কোহলি, রজত পতিদার, যশ দয়াল

নিলামে কেনা: জশ হ্যাজলউড, ফিল সল্ট, জিতেশ শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, লিয়াম লিভিংস্টোন, রাসিখ সালাম, ক্রুনাল পান্ডিয়া, টিম ডেভিড, সুয়শ শর্মা, জ্যাকব বেথেল, দেবদূত পাড়িক্কাল, নুয়ান তুষারা, রোমারিও শেফার্ড, স্বপ্নীল সিং, স্বস্তিক চিকারা, মনোজ ভান্দগে, অভিনন্দন সিং, লুঙ্গি এনগিডি, মোহিত রাঠি।

শক্তি

● মৌসুম আসে মৌসুম যায়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) অবস্থা একই থেকে যায়। অতীতের মতো এবারও আরসিবির ব্যাটিং লাইনআপ বেশ শক্তিশালী। গত মৌসুমে কলকাতার হয়ে ৪৩৫ রান করা ফিল সল্ট থাকবেন ওপেনিংয়ে, সঙ্গী আইপিএলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক বিরাট কোহলি।

● টপ অর্ডারে খেলতে পারেন অধিনায়ক রজত পতিদার ও দেবদূত পাড়িক্কাল। মিডল অর্ডারেও হার্ড হিটারের আধিক্য। এই যেমন লিয়াম লিভিংস্টোন, টিম ডেভিড, রোমারিও শেফার্ড, জিতেশ শর্মা, ক্রুনাল পান্ডিয়ারা নিজেদের দিনে খেলা পরিবর্তন করে দিতে পারেন। ইংল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার জ্যাকব বেথেলও আছেন বেঙ্গালুরুতে।

ওপেনিংয়ে দেখা যাবে সল্টকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ