আইপিএলের তিন দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সাকিব
Published: 22nd, March 2025 GMT
আজ শনিবার শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১৮তম আসর। এর আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ওপর থেকে উঠে গেছে বোলিং নিষেধাজ্ঞা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপাতত অনুপস্থিত সাকিবের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও অংশগ্রহণ নেই। তবে এই অবস্থায় ভারতীয় গণমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ দাবি করেছে, আইপিএলের অন্তত তিনটি দলের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ হয়েছে সাকিবের।
খবরে বলা হয়, সাকিবের সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আলোচনা হয়েছে। মূলত স্পিন বিভাগে ঘাটতির কারণেই এই দলগুলো সাকিবের মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে।
যদিও এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনো খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়লে বা নাম প্রত্যাহার করলে তবেই বিকল্প হিসেবে সাকিবের সুযোগ মিলতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি দল সারের হয়ে খেলতে গিয়ে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর ডিসেম্বরে নিষিদ্ধ হন বোলিং থেকে। তবে চলতি মার্চেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আবার বোলিংয়ের ছাড়পত্র পেয়েছেন সাকিব।
সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই সাকিব জানিয়ে দিয়েছেন—আইপিএলে খেলতে তার কোনো বাধা নেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।