আজ শনিবার শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১৮তম আসর। এর আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ওপর থেকে উঠে গেছে বোলিং নিষেধাজ্ঞা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপাতত অনুপস্থিত সাকিবের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও অংশগ্রহণ নেই। তবে এই অবস্থায় ভারতীয় গণমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ দাবি করেছে, আইপিএলের অন্তত তিনটি দলের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ হয়েছে সাকিবের।

খবরে বলা হয়, সাকিবের সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আলোচনা হয়েছে। মূলত স্পিন বিভাগে ঘাটতির কারণেই এই দলগুলো সাকিবের মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে।

যদিও এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনো খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়লে বা নাম প্রত্যাহার করলে তবেই বিকল্প হিসেবে সাকিবের সুযোগ মিলতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি দল সারের হয়ে খেলতে গিয়ে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর ডিসেম্বরে নিষিদ্ধ হন বোলিং থেকে। তবে চলতি মার্চেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আবার বোলিংয়ের ছাড়পত্র পেয়েছেন সাকিব।

সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই সাকিব জানিয়ে দিয়েছেন—আইপিএলে খেলতে তার কোনো বাধা নেই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ