বগুড়ায় বিএনপি নেতাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 23rd, March 2025 GMT
বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) শরিফুল ইসলাম খোকন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
বাদী শরিফুল ইসলাম খোকন সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও মেসার্স খোকন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। তিনি বেলকুচি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে উপজেলার শাহদহ এলাকায় মাটি-বালু উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে দরপত্রের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে নদীর তীর এলাকা থেকে ১৮ লাখ ঘনফুট মাটি-বালু অপসারণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেই বালু অপসারণের কাজে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
হামলা-ভাঙচুর মামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিসহ গ্রেপ্তার ২
শিশুকে যৌন নিপীড়ন, যুবক গ্রেপ্তার
চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রফিকুল ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৬ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে শাকদহ এলাকায় বালু পয়েন্টে গিয়ে তার (শরিফুল ইসলাম) প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোয়েল সরকারকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় গত ২১ মার্চ শরিফুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার বাদী শরিফুল ইসলাম খোকনের অভিযোগ, থানায় মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা শাকদহ পয়েন্ট থেকে বালু অপসারণ বন্ধ করে দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, “বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসাগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে নদীর সীমানা ছাড়াও স্থানীয় কৃষকের জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে মেসার্স সেলিম ট্রেডার্স এবং বিজয় এন্টারপ্রাইজ নামে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গত বছরের ২১ আগস্ট ৩৫ লাখ টাকায় ২০ লাখ ঘনফুট বালু কিনে নেওয়া হয়। একই বালু গত ৩০ অক্টোবরে ক্রয় দেখিয়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করছেন। এই দাবির আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। চাঁদাবাজি কিংবা ছিনতাই নয়, নিলামে কেনা বালুর মালিকানা নিয়ে হয়রানি করতেই থানায় মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।”
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, “মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হননি। পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর
বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।
গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।’
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।
গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।