অভিযোগ নেই সাকিবের, তবে যোগাযোগটা ভালো হলে খুশি হতেন
Published: 23rd, March 2025 GMT
সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পরিকল্পনা মতো অবসর নিতে পারেননি। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলে টেস্ট ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে দেশে আসতে পারেননি তিনি।
ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ বিশ্বকাপের সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। ওই সময় বোলিং অ্যাকশন ক্রুটিযুক্ত হওয়ায় বিসিবি তাকে গত মাসের ওই টুর্নামেন্টের দলে রাখেনি।
অভিযোগ আছে, সাকিবকে দলে না নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক কারণ মূখ্য। যদিও বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেছিলেন, শুধু ব্যাটার সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা নেই। যে কারণে তাকে দলে নেওয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে সাকিব জানিয়েছেন, বিসিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া যেত, ‘আমার কোন অভিযোগ নেই (বিসিবির প্রতি)। তবে যোগাযোগটা ঠিকঠাক হলে আমি বেশি খুশি হতাম।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি তিনি ইংল্যান্ডে তৃতীয়বার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন। যে কোন ধরনের ক্রিকেটে বোলিং করতে তার আর বাধা নেই। সাকিবের পরিকল্পনা দ্রুতই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ফেরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম’—তামিমের আবেগঘন স্বীকার
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সমকালের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তার আন্তর্জাতিক অবসর অপ্রত্যাশিত বা আবেগঘটিত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বরং ছয় থেকে আট মাস ধরে চলা দৃঢ় মানসিক চাপ ও দল থেকে বঞ্চনার কারণেই তিনি বাধ্য হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিতে।
তামিম বলেন, ‘যখন ২০২৩ সালে খবরটা দিলাম, অনেক মিডিয়া ধারণা করেছে আবেগে ছেড়েছি। কিন্তু সত্যিই, আমি দীর্ঘ সময় সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম।’
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম যোগ করেন, ‘সেখানে আমি একা অনুভব করতে শুরু করি। আমি সব সময় সবাইকে নিয়ে গল্প করতে পছন্দ করি। আড্ডা দিতে ভালোবাসি। হঠাৎ এসব থেকে আমাকে একা করে দেওয়া হলো। সেই অভাবটা আমি মেনে নিতে পারিনি।’
তামিম জানালেন, ‘অবসর জানাতে আমার পরিবারের সঙ্গেই কথা হয়েছে। হ্যাঁ, যেদিন ঘোষণা দিয়েছি, সেদিন আবেগাপ্লুত ছিলাম। তবে বেশ আগেই যে প্রেক্ষাপট তৈরি হতে শুরু করেছে, তা অনেকেই জানেন না।’