সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পরিকল্পনা মতো অবসর নিতে পারেননি। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলে টেস্ট ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে দেশে আসতে পারেননি তিনি। 

ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ বিশ্বকাপের সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। ওই সময় বোলিং অ্যাকশন ক্রুটিযুক্ত হওয়ায় বিসিবি তাকে গত মাসের ওই টুর্নামেন্টের দলে রাখেনি। 

অভিযোগ আছে, সাকিবকে দলে না নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক কারণ মূখ্য। যদিও বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেছিলেন, শুধু ব্যাটার সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা নেই। যে কারণে তাকে দলে নেওয়া হয়নি। 

বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে সাকিব জানিয়েছেন, বিসিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া যেত, ‘আমার কোন অভিযোগ নেই (বিসিবির প্রতি)। তবে যোগাযোগটা ঠিকঠাক হলে আমি বেশি খুশি হতাম।’ 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি তিনি ইংল্যান্ডে তৃতীয়বার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন। যে কোন ধরনের ক্রিকেটে বোলিং করতে তার আর বাধা নেই। সাকিবের পরিকল্পনা দ্রুতই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ফেরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি

২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতের কথা। ভিয়ারিয়ালের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে লিগে টানা ষষ্ঠ জয় আদায় করে নেয় বার্সেলোনা। কিন্তু জিতেও যেন স্বস্তি ছিল না বার্সা শিবিরে। হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়ে যে স্ট্রেচারের করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে শূন্যে লাফিয়ে বল ধরার পর পড়ে গিয়ে ডান হাঁটুতে এই চোট পান জার্মান গোলরক্ষক।

সে সময়েই বোঝা যাচ্ছিল, খারাপ কোনো খবর পেতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। হয়েছেও তাই। জানা যায়, গুরুতর এই চোটে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে টের স্টেগেনের। দলের প্রধান গোলরক্ষককে হারিয়ে বার্সার তখন পাগলপ্রায় দশা।

ইনিয়াকি পেনিয়া দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে থাকলেও মৌসুমজুড়ে তাঁর ওপর আস্থা রাখা কঠিনই ছিল। আর কোনো কারণে যদি তাঁকেও হারাতে হয়, তখন কী হবে! সব মিলিয়ে বার্সার আরেকজন গোলরক্ষককে দলে টানা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।

কিন্তু লা লিগার দলবদলের দুয়ার তখন বন্ধ হওয়ায় বিকল্প পথের সন্ধান করতে হয় বার্সাকে। এর মধ্যে একটা পথ পেয়েও যায় তারা। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) বিশেষ শর্ত মেনে গোলরক্ষক ভেড়ানোর সুযোগ পায় কাতালান ক্লাবটি। শর্তটি হচ্ছে চোটাক্রান্ত খেলোয়াড়টিকে চার মাসের বেশি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হবে।

আরও পড়ুনআলিসন ও সেজনি: মানব থেকে অতিমানব০৬ মার্চ ২০২৫

পাশাপাশি যে খেলোয়াড়টি তারা নেবে, তাঁকে ফ্রি এজেন্ট হতে হবে এবং দলবদল শেষ হওয়ার আগেই আগের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে হবে। এ ছাড়া নতুন যে গোলরক্ষককে তারা কিনবে, তাঁকে আহত গোলরক্ষকের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন দেওয়ার অনুমতি পাবে ক্লাবটি। যেমন বার্সায় টের স্টেগেন বেতন পান বছরে ৯০ লাখ ইউরো। এখন নতুন গোলরক্ষকের বেতন হতে পারবে বছরে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ ইউরো।

এত শর্ত মেনে খেলোয়াড় খুঁজে বের করা সহজ ব্যাপার ছিল না। কিন্তু এই কঠিন শর্তই বার্সাকে পৌঁছে দেয় ভয়চেক সেজনির কাছে। যিনি এক মাস আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট জুভেন্টাসের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি ছিন্ন করে হয়ে যান ফ্রি এজেন্ট।  

দলের সঙ্গে ট্রফি হাতে সেজনির উদ্‌যাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ কর্মকর্তার অবসর ও বরখাস্তের আদেশ আদালতে বহাল
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
  • বাবার মরদেহ দুই বছর লুকিয়ে রাখেন সন্তান
  • সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি