আইপিএলের গত মৌসুমে ব্যাটিং তান্ডব দেখিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের রেকর্ড ২৭৭, ২৬৬ ও ২৮৭ রান তুলেছিল তারা। কখনো ট্রাভিস হেড, কখনো অভিষেক শর্মা নয়তো হেনরিক ক্লাসেন ঝড় তুলেছিলেন। এবারো প্রথম ম্যাচেই তান্ডব দেখিয়েছে হায়দরাবাদ।

রাজস্থান রয়েলসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান তুলেছে। যা ইনিংসে আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান। গত বছর হায়দরাবাদ রেকর্ড ২৮৭ করেছিল।

বিশাল ওই রান তুলতে ঝড়ো সেঞ্চুরি করেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স থেকে হায়দরাবাদে নাম লেখানো ইশান কিশান। তিনি তিনে নেমে ৪৭ বলে ১০৬ রান তোলেন। ১১টি চারের সঙ্গে ছয়টি ছক্কা মারেন। শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করা দলটির হয়ে অভিষেক শর্মা ১১ বলে ২৪ রান করেন। অন্য ওপেনার ট্রাভিস হেড ৩১ বলে ৪৭ রান যোগ করেন। তিনি ৯টি চারের সঙ্গে ছক্কা মারেন ৩টি।

চওড়া ছিল নিতিশ রেড্ডি ও ক্লাসেনের ব্যাটও। চারে নামা অলরাউন্ডার রেড্ডি ১৫ বলে ৩০ রান যোগ করেন। চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। ক্লাসেন পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় খেলেন ১৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। তুষার দেশপান্ডে ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেওয়া মহেশ থিকসানা ৪ ওভারে ৫২ রান হজম করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ