আন্তর্জাতিক ইনকামিং ও আউটগোয়িং ফোনকলের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগে দুটি মামলায় দুটি গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও ভিশন টেল লিমিটেড। আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের ৪৬৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৯ টাকা দেশে না এনে পাচার করেছে অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেড। এই কলের আয় থেকে সরকারের রাজস্বও পরিশোধ করা হয়নি। তাই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান ও চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এসব আন্তর্জাতিক কলের আদান–প্রদান হয়।

আক্তার হোসেন বলেন, একইভাবে ৪০৪ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ২৯৩ টাকা পাচারের অভিযোগে ভিশন টেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল মির্জা ও চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, ২০২১ সালে অর্থপাচারের অভিযোগে ভিশন টেল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। আর অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২২ সালে মামলা করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ

দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ