আন্তর্জাতিক কলের মাধ্যমে ৮৬৭ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
Published: 23rd, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ইনকামিং ও আউটগোয়িং ফোনকলের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগে দুটি মামলায় দুটি গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও ভিশন টেল লিমিটেড। আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের ৪৬৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৯ টাকা দেশে না এনে পাচার করেছে অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেড। এই কলের আয় থেকে সরকারের রাজস্বও পরিশোধ করা হয়নি। তাই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান ও চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এসব আন্তর্জাতিক কলের আদান–প্রদান হয়।
আক্তার হোসেন বলেন, একইভাবে ৪০৪ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ২৯৩ টাকা পাচারের অভিযোগে ভিশন টেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল মির্জা ও চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ২০২১ সালে অর্থপাচারের অভিযোগে ভিশন টেল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। আর অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২২ সালে মামলা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।