নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না: আমিনুল হক
Published: 24th, March 2025 GMT
নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
সোমবার রাজধানীতে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ ও রুপনগর আবাসিক জনকল্যাণ সমিতির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বৈরাচারের দোসর ও ষড়যন্ত্রকারীরা বসে আছে। তারা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় না। দেশের বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
আমিনুল হক বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে না। গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নয়ন হয় না। এ সরকারের উচিত গণতন্ত্র ও সংস্কারকে চলমান রেখে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ নির্বাচন ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে না।
তিনি বলেন, আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনামুক্ত হয়েছি কিন্তু পরিপূর্ণভাবে স্বৈরাচারমুক্ত হতে পারিনি। দেশে যেন একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হতে পারে এজন্য স্বৈরাচাররা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। গত দেড় যুগ ধরে এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে চায়। কিন্তু যড়যন্ত্রকারীরা ও স্বৈরাচারের দোসররা এ অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ঢুকে তাদের নির্বাচন না দেওয়ার জন্য বুদ্ধি ও পরামর্শ দিচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা চাই এ অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের ভেতরে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে এবং সে নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। জনগণের এ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শাহ আলম মোল্লার সভাপতিত্বে ও মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র পনগর থ ন ষড়যন ত র ব এনপ র জনগণ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, আশার আলো। শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।
নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
তারা বলেন, আজকের এই বৈঠক যেন শুধু কথার কথা না থাকে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, বাংলাদেশের, জনগণের।
বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বজাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) স-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।