সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্য প্রণোদিত: নুরুল হক
Published: 24th, March 2025 GMT
সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘ছাত্রনেতারা আগ্রহ নিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে মিটিং করতে গিয়েছিলেন। সেনাপ্রধান তাদের ডাকেননি। সেনাপ্রধানকে নতুন করে বিতর্কিত করা, সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি করা নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে। কারা এসবের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে তা উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।’
আজ সোমবার বরিশাল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের জেলা ও মহানগর শাখার কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক ডাকসু ভিপি নুর বলেন, নাগরিক পার্টির সারজিস ও হাসনাতের বক্তব্য চরম উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। হাসনাত বলেছেন, সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগকে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে পুনর্বাসন করতে চায়। আবার সারজিস বলছেন, সেনাপ্রধান তা বলেননি। আমাদের মনে হচ্ছে দুজনের একজন মিথ্যা বলছেন। নাগরিক পার্টিরই উচিত বিষয়টি তদন্ত করে আসল ঘটনা উন্মোচন করা।’
নুর বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রশ্নই উঠে না। সেনাবাহিনী শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছিল। সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও ৪ আগস্ট হাসিনাকে বলেছিল ক্ষমতা ছাড়তে হবে। যেখানে পুলিশ-প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। তাই সেনাবাহিনীকে নিয়ে এমন মন্তব্য কোনো ভাবেই কাম্য নয়।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি শামিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগর সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ল হক ন র বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’
কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যের পোশাকের সঙ্গে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ সংযুক্ত করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই ক্যামেরার মাধ্যমে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের অডিও ও ভিডিও কার্যক্রম রেকর্ড করা যাবে।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের ৩৫ জন পুলিশ সদস্যের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ক্যামেরা হস্তান্তর করা হয়। বডি ওর্ন ক্যামেরা বিতরণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দিন শাহীন।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই। বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, জনগণের আস্থা অর্জন এবং পুলিশের পেশাগত আচরণ পর্যবেক্ষণ সহজ হবে। পর্যটননির্ভর শহর কক্সবাজারে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তাব্যবস্থার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।’
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে থানা ও ফাঁড়ির টহল দল, ট্রাফিক ইউনিট, ডিবি এবং বিশেষ অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যদের মধ্যে এই ক্যামেরা বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ইউনিটেও এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বডি ওর্ন ক্যামেরার রেকর্ড সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় সার্ভার ও সফটওয়্যার সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ক্যামেরা ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগ পুলিশের পেশাদারত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগ থেকে সুরক্ষা, তদন্তে স্বচ্ছতা এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে।