‘জুলাই বিপ্লবে আমার পুরোনো একটা গানকে সবাই আপন করে নিয়েছে’
Published: 25th, March 2025 GMT
বাবা গান, নাটক লিখতেন; বাজাতেন সেতার। নাটক লিখে ছেলেকে দিয়ে অভিনয় করাতেন বাবা। পরে স্কুল-কলেজেও থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন মল্লিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে যোগ দেন ‘থিয়েটার ৫২’-তে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আর অভিনয়ে থাকা হয়নি। ২০১৭ সালে যুক্ত হন ‘জলের গান’–এ। রাহুল আনন্দের সরাসরি তত্ত্বাবধানে শুরু হয় তাঁর সংগীতের যাত্রা। পুরোদস্তুর গানের মানুষ হয়ে যান মল্লিক।
মল্লিকের গান
মল্লিক ঐশ্বর্যের কণ্ঠে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘জলের গান’–এর বেশ কিছু গান। ‘পিঠাপুলির গান’, ‘ঢাকানামা’, ‘ফুলকুমারীর বিয়ে’ অন্যতম। এর বাইরে তাঁর গাওয়া নিজের লেখা ও সুর করা গান ‘ভাঙা ঘর’, ‘ভালোবেসে আঁকো’, ‘উল্টে দেখুন, পাল্টে গেছে’, ‘আমরা সবাই ভালোর দলে’ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জুলাই আন্দোলনে নতুন করে সামনে আসা তাঁর ‘এক জাদুর দেশে জাদু দেখায় রাজা’ শুনে শ্রোতাদের অনেকে বলছেন, এ সময়ের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক গান।
গান প্রসঙ্গে মল্লিকের ভাষ্য, ‘আমার কণ্ঠে জলের গানের যে গানগুলো মানুষ ভালোবেসেছে, এ জন্য নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। মানুষের ভালোবাসা পাওয়া সব শিল্পীর জন্যই আনন্দের। এর সবটাই আমার গুরু, শিক্ষক রাহুল আনন্দের দোয়ায় ও আশীর্বাদে। আমার একান্ত নিজের যে গানগুলো এসেছে, সেসব নিয়েও শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়েছি। জুলাই বিপ্লবে আমার পুরোনো একটা গানকে সবাই আপন করে নিয়েছে, তা–ও কম আনন্দের না। একজন শিল্পীর জন্য এর চেয়ে ভালো লাগার আর কী হতে পারে।’
মল্লিক ঐশ্বর্য। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আনন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক