লক্ষ্মীপুরে অপহৃত স্কুলছাত্রী ২ মাস পর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
Published: 26th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে অপহরণের প্রায় দুই মাস পর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে (১২) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. শাওন ও রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় সদর মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভিকটিমকে অভিযুক্তরা দুই মাস আগে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। র্যাবের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহৃত ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার শাওন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গ্রামের চরভূতা গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে ও রাব্বি একই এলাকার মো.
আরো পড়ুন:
টেকনাফে অটোরিকশা থামিয়ে অপহরণ চেষ্টা, আটক ৩
৮ পর্যটককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪
র্যাব ও থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও স্থানীয় চরভূতা গ্রামের বাসিন্দা। বিদ্যালয়ের আসা-যাওয়ার পথে শাওন প্রায়ই তাকে প্রেম নিবেদনসহ উত্যক্ত করতো। ঘটনাটি ছাত্রী তার মাকে জানায়। পরে তার মা ঘটনাটি শাওনের বাবা ও ফুফুকে জানিয়েছে। কিন্তু তারা বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়। মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় মা বিয়েতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০ জানুয়ারি বিদ্যালয় যাওয়ার পথে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শাওন ও রাব্বিসহ চার জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। অপর অভিযুক্তরা হলেন, শাওনের বাবা মোসলেহ উদ্দিন ও ফুফু তাসলিমা বেগম।
অপহরণের ২ মাস ৫ দিন পর মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) র্যাব অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে অভিযুক্ত শাওন ও রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে। পরে হাটহাজারীর কামালপাড়া এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র্যাব অভিযুক্তদের সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু আসামিদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ জানান, ভূক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
ঢাকা/লিটন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।