দেড় দশক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার আলেম-ওলামারা: হাসনাত আবদুল্লাহ
Published: 27th, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, গত দেড় দশক ধরে দেশে ইসলামিক পড়াশোনা, বিশেষ করে মাদ্রাসাগুলোকে সবসময় দ্বিতীয় গ্রেডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আলেম-ওলামাদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত রাখা হতো। জাতীয় পর্যায় থেকে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুজাত আলী সরকারি কলেজ মাঠে এনসিপি আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হিসেবে তৈরি করতে পেরেছি। তবে এখনও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকার পরও আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। আমাদের সবসময় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছি, বিভিন্নভাবে আপনাদের ব্যবহার করা হতে পারে। আমরা অতীতে যেভাবে পরমতসহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে পরিচয় দিয়েছি, ভবিষ্যতেও এই পরিচয় অব্যাহত রাখব।
উপস্থিত ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কুমিল্লার যত আসন রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেবিদ্বার। আমরা প্রত্যাশা করব, সে আসনটি শিগগিরই এনসিপির আসন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেটির জন্য আপনাদের সহায়তা চাই।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপুর জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুমের মুহতামিম হাফেজ মাওলানা লোকমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব হাফেজ নাজির মাহমুদ প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?