ঈদমুখো মানুষের যাত্রীচাপ ঠেকাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে থাকছে ৬টি স্পেশাল লঞ্চ। তবে এতেও যদি না হয় যাত্রীর প্রয়োজনে স্পেশাল লঞ্চ আরও বাড়ানো হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত থেকেই যাত্রীচাপকে মাথায় রেখে এসব লঞ্চ চলাচলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘাটেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

জানা যায়, চাঁদপুরের লঞ্চঘাট দিয়ে চাঁদপুর নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে ছোট ১৫টি এবং চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য স্থানে ভায়া হিসেব ধরে সবমিলিয়ে ২০টির মতো বড় লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করছে। 

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক বাবু লাল বৌদ্ধ বলেন, “ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই ৬টি স্পেশাল লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে লঞ্চের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশি টহল টিমও খোলা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ফিটনেসবিহীন কোন লঞ্চই এ রুটে নেই, সব ফিট। কাজেই যাত্রীরা নির্বিঘ্নে এ রুটে চলাচল করতে পারবেন। তবে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী কোন লঞ্চ পরিবহন করছে কিনা আমরা তাও খেয়াল রাখবো। এছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া লঞ্চগুলোর শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতেও আমরা তৎপর রয়েছি।”

ঢাকা/জয়/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ