বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগে দান করা হয়েছে। 

সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সন‌্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ। তিনি বলেন, বেলা ১১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের শরীর দানের সিদ্ধান্তটি সন্‌জীদা খাতুন ১৯৯৮ সালে নিয়েছিলেন।

মরদেহ দানের সময় সন‌্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ, ছোট মেয়ে রুচিরা তাবাসসুম নভেদ, বড় মেয়ের স্বামী সাংবাদিক নিয়াজ মোরশেদ কাদেরী এবং ছোট মেয়ের দেবর অধ্যাপক মানজারে শামীম উপস্থিত ছিলেন।

পার্থ তানভীর নভেদ জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের পক্ষ থেকে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের শরীর দানের সিদ্ধান্তটি তার মা ১৯৯৮ সালে নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তখন একটি চুক্তিও করেছিলেন সন্‌জীদা খাতুন। 

মঙ্গলবার মারা যান সন্‌জীদা খাতুন। সে দিন রাতে সন‌্জীদা খাতুনের মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। বুধবার দুপুরে তার কফিন নেওয়া হয় ছায়ানট ভবনে। সেখানে শেষবিদায় জানান ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাকে শেষবিদায় জানান শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ আবারও হিমঘরে রাখা হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রবাসে থাকা পরিবারের সদস্যরা আসার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সন্‌জীদা খাতুনের নিজের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে বৃহস্পতিবার তার পরিবার মরদেহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে দান করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: খ ত ন র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের একাধিক স্থানে যানবাহন বিকল এবং সড়ক দুর্ঘটনার কারণে কুমিল্লাগামী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে দীর্ঘ সময় আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে গজারিয়া অংশের বাউশিয়া এলাকায় পিকআপ ও মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি বাউশিয়া এবং বালুয়াকান্দি এলাকায় দুটি মালবাহী ট্রাক বিকল হওয়ায় কুমিল্লাগামী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে গাড়ির জট বাড়তে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যে যা মহাসড়কের প্রায় ৯ কিলোমিটার অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

কুমিল্লাগামী প্রাইভেটকার চালক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘‘ভাটেরচর ব্রিজ পার হওয়ার পর থেকে যানজট পেয়েছি। গোমতী ব্রিজ পর্যন্ত যানজট রয়েছে। এই ৯ কিলোমিটার পথ আসতে আমার দেড় ঘণ্টার মত সময় লাগল।’’

আরো পড়ুন:

রাতে থেমে থেমে যানজট, সকালে স্বস্তি মহাসড়কে 

চন্দ্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে থেমে থেমে যানজট

ট্রাক চালক কুরবান আলী বলেন, ‘‘কী কারণে যানজট তা বলতে পারছি না। দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে আটকে আছি, জানি না কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।’’

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘‘বিকল হাওয়া গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ