২০২২ সালে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। কারণ, পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতাম। ঈদের ওই সময় অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছিল। হাতে সময় ছিল কম। তাই নির্দিষ্ট কিছু বন্ধু ও সিনিয়রদের সঙ্গেই ক্যাম্পাসেই ঈদ করি।

ঈদের দিন সকালে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে সিনিয়রদের কাছ থেকে সালামি নিই। মোট আট শ টাকা পাই। এই সালামি পাওয়ার যে আনন্দ, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। হলে ফিরে জানতে পারি, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ, যা কিছুটা হলেও ‘বাড়ির ঈদের আনন্দ’ দিয়েছিল। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হই। হঠাৎ ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়র ভাই ফোন করে বলল, তিনিও ক্যাম্পাসে আছেন। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান খাওয়াতে চান। অনেক উচ্ছ্বাস নিয়ে মেজবান খেতে চললাম। খাওয়া আর হলো কই!

সেদিন রেস্টুরেন্টসহ চট্টগ্রামের প্রায় সব দোকানই ছিল বন্ধ। হতাশ হয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে দেখি, সেখানেও একই অবস্থা। ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে, আশপাশে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ।

পরিবারের গুরুত্ব কতখানি—সেদিন উপলব্ধি করেছিলাম। একদিকে মা বারবার ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে, কী খেয়েছি, কেমন আছি। মাকে কষ্ট না দিতে মিথ্যা বলে যাচ্ছিলাম—‘খেয়ে নিয়েছি।’ বাস্তবে সকালের খাবার ছাড়া সারাদিন কিছুই খেতে পারিনি। এই অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে, ঈদ কেবল ভালো খাবার বা আনন্দের মুহূর্ত নয়, বরং এটি পরিবারের সান্নিধ্য এবং ভালোবাসার অনুভূতি, যা দূরে থাকলে আরও গভীরভাবে অনুভূত হয়।

মারুফ মিয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ