্রিনল্যান্ডের নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন। আগামী ২ এপ্রিল দুই দিনের সফরে সেখানে যাবেন।

ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডকে আয়ত্তে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যেই গ্রিনল্যান্ড সফর করছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী।

গত শনিবার ফ্রেডেরিকসেন বলেন, ‘আমি গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বাসযোগ্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য উন্মুখ।’ শুক্রবার গ্রিনল্যান্ডের উত্তরে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ডেনমার্কের বিরুদ্ধে দ্বীপটিকে অনিরাপদ করে রাখার অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপটিকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করবে। জ্যঁ-ফ্রেডেরিক নিলসেনের নেতৃত্বে গ্রিনল্যান্ডে জোট গঠনের কয়েক ঘণ্টা পর ভ্যান্স এ মন্তব্য করেন। অবশ্য ফ্রেডেরিক ডেনমার্ককে তার নিকটতম মিত্র বলে অভিহিত করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ