ভারতকে রুখে দেওয়ার পুরস্কার র্যাঙ্কিংয়ে পেলেন হামজারা
Published: 3rd, April 2025 GMT
২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ভারতকে রুখে দেওয়ার পর র্যাঙ্কিংয়েও সুখবর পেলেন হামজা চৌধুরীরা।
আজ প্রকাশিত সর্বশেষ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে ১৮৩ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের এটিই সর্বোচ্চ অবস্থান। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছিল বাংলাদেশ।
তখন এক মাসের ব্যবধানে ১৮৯ থেকে ১৮৩ নম্বরে জায়গা করে নেয় লাল–সবুজের জার্সিধারীরা। ২০২৩ সালে অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা পাঁচ মাস ১৮৩ নম্বরে থাকার পর পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। গত বছরের এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত মোট আটবার র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে ফিফা। এই সময়ে বাংলাদেশ ১৮৪ আর ১৮৫ এর ঘরেই আটকা ছিল৷
সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট বেড়েছে ৫.
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলের সেরা অবস্থান ১১০। ১৯৯৬ সালে ফুটবল খেলা দেশগুলোর মধ্যে এমন শক্ত অবস্থানে ছিল তাঁরা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে মাঠের পারফরম্যান্স পড়তির দিকে যাওয়ায় র্যাঙ্কিংয়ে গ্রাফটাও নিম্নমুখী হতে থাকে৷ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ নেমে গিয়েছিল সর্বনিম্ন ১৯৭ নম্বরে।
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের এমন উন্নতির দিনে একধাপ পিছিয়েছে ভারত। সুনীল ছেত্রীরা এখন ১২৭তম অবস্থানে। ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১৬০ নম্বরে থাকা সেই সিঙ্গাপুরও একধাপ পিছিয়ে এখন ১৬১-তে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাই ধরে রেখেছে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলকে ৪-১ গোলের হারানো আর্জেন্টিনার পয়েন্ট বেড়েছে ১৮.৯১।
আর্জেন্টিনার পরেই আছে স্পেন। ফ্রান্সকে তিনে ঠেলে দুইয়ে উঠে এসেছে স্প্যানিশরা। চারে ইংল্যান্ড, পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল আছে পাঁচে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা