আসিয়ান সদস্যপদের জন্য থাইল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 4th, April 2025 GMT
আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে ঢাকার প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন দানের জন্য থাইল্যান্ডের বিশিষ্টজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি থাই বিশিষ্টজনদের উদ্দেশে বলেছেন, “আসিয়ানের খাতভিত্তিক সংলাপ অংশীদার হিসেবে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের, তবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো এই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক গোষ্ঠীর পূর্ণ সদস্য হওয়া।”
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংককের একটি হোটেলে থাই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে এক বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস একথা বলেন।
তিনি বলেন, “এই পথেই আমাদের ভবিষ্যৎ।”
সরকারপ্রধান বলেন, “বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতায় বিশ্বাস করে এবং আমরা সার্ক ও বিমসটেকের গর্বিত সদস্য।”
তিনি বলেন, “আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে আরো বেশি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।”
বৈঠকে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজীবা, সাবেক এক উপ-প্রধানমন্ত্রী, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ এবং নাগরিক সমাজের নেতারাও অংশ নেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ আশা করছে, আসিয়ানের সদস্যপদ অর্জনে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ আসিয়ানের শীর্ষ দেশগুলোর সমর্থন পাওয়া যাবে।”
তিনি থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে আরো বৃহত্তর সহযোগিতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “উভয় দেশ একইরকম ইতিহাস ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।”
‘আমরা যে ধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, এই বৈঠকের মাধ্যমে তার সূচনা হলো,’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা সাম্প্রতিক বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “বিশ্ব এই ‘বিশৃঙ্খল অবস্থা’ কে তার সুবিধায় রূপান্তর করতে পারে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “বিশৃঙ্খলা অনেক কিছুকে নাড়িয়ে দিতে পারে।”
তিনি বলেন, “আমাদের আরো সহযোগিতা দরকার।” আমরা একটি নতুন ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে ভাবতে পারি কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তন এবং ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরে বলেন, “এই অভ্যুত্থান একজন নিষ্ঠুর স্বৈরশাসককে উৎখাত করে দেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।”
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে অবিশ্বাস দূর, সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের পথ সুগম হবে: সাইফুল হক
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশে আগামী সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক অচলাবস্থা, সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করবে বলে আশা করছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
লন্ডনে দুই নেতার বৈঠকের বিস্তারিত সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করারও আহ্বান জানিয়েছেন সাইফুল হক।
সরকারের এই উদ্যোগ বিলম্বিত বোধদয়ের ফল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, আরও আগে সরকারের এই বোধদয় হলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক ও রাজনৈতিক বিরোধ এড়িয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মৌলিক কাজে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া যেত।
সব অংশীজনকে আস্থায় নিয়ে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের রাস্তা সুগম হলো।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাইফুল হক বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে তাঁর দল জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে আপসহীন ধারায় সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। সমাবেশে সংহতি জানান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহবায়ক শেখ আবদুর নূর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মীর, রেজাউল আলম, ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা মো. সালাউদ্দীন, মিজারুল রহমান ডালিম, আরিফুল ইসলামসহ পার্টির ঢাকা মহানগরের নেতারা।