মিয়ানমারে বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম
Published: 5th, April 2025 GMT
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বাধীন বিশেষ উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী দল। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশি দলটি এখন মিয়ানমারে অবস্থান করছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অদ্যাবধি চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মিয়ানমার ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের ধ্বসে পড়া ভবন পরিদর্শন করা হয় এবং ক্লিয়ারিং অপারেশনের জন্য প্রতিবেদন দেওয়া হয়। আগামীকাল সরকারি কিছু কার্যালয়ের ভবনে ক্লিয়ারিং অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি শনিবার ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট যবুথিরি জেনারেল হাসপাতাল ও ১০০ শয্যা বিশিষ্ট লি ওয়ে হাসপাতালে বাংলাদেশি চিকিৎসকদলের বিশেষজ্ঞরা ১৫০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মেডিকেল টিমের সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞরা দুই জন ক্যান্সার রোগীর জটিল অস্ত্রোপচারে এবং অর্থোপেডিক সার্জনগণ একটি জটিল সার্জারিতে অংশগ্রহণ করেন। এ পর্যন্ত মোট ২২৭ জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল রবিবারও বাংলাদেশি উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী দলের কার্যক্রম স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।