মিয়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বাধীন বিশেষ উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী দল। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশি দলটি এখন মিয়ানমারে অবস্থান করছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অদ্যাবধি চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মিয়ানমার ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের ধ্বসে পড়া ভবন পরিদর্শন করা হয় এবং ক্লিয়ারিং অপারেশনের জন্য প্রতিবেদন দেওয়া হয়। আগামীকাল সরকারি কিছু কার্যালয়ের ভবনে ক্লিয়ারিং অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি শনিবার ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট যবুথিরি জেনারেল হাসপাতাল ও ১০০ শয্যা বিশিষ্ট লি ওয়ে হাসপাতালে বাংলাদেশি চিকিৎসকদলের বিশেষজ্ঞরা ১৫০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মেডিকেল টিমের সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞরা দুই জন ক্যান্সার রোগীর জটিল অস্ত্রোপচারে এবং অর্থোপেডিক সার্জনগণ একটি জটিল সার্জারিতে অংশগ্রহণ করেন। এ পর্যন্ত মোট ২২৭ জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল রবিবারও বাংলাদেশি উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী দলের কার্যক্রম স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ

নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত